'ক্ষুদ্র প্রয়াস রক্ষা করবে ইতিহাস'

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মফিদুল হক।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মফিদুল হক।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রয়োজন দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অবদান। মানুষের অবদানকে উৎসাহিত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ‘ক্ষুদ্র প্রয়াস রক্ষা করবে ইতিহাস’ শীর্ষক আর্থিক অনুদান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

গতকাল শুক্রবার সকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনুদান দেওয়ার জন্য জাদুঘরের ওয়েবসাইটে ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ পেজ উদ্বোধন করে এ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। অনুদান সংগ্রহের কাজটি আরও অংশগ্রহণমূলক ও সহজ করতে এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুঠোফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের দুই ট্রাস্টি মফিদুল হক, রবিউল হুসাইন ও বিকাশের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদীর উপস্থিত ছিলেন। মফিদুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংরক্ষণ ও ভবিষ্যতে বয়ে নিয়ে যেতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এখনো অনেক কাজ বাকি। তার জন্য প্রয়োজন অর্থের সংস্থান। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিলে অনুদান দিয়ে এই প্রজন্মের সদস্যরা জাতির গৌরবময় ইতিহাস রক্ষার অংশী হয়ে উঠতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বিকাশ কর্মকর্তা কামাল কাদীর জানান, নতুন এই পেমেন্ট গেটওয়ে দিয়ে দেশের যেকোনো স্থান থেকে বিকাশের মাধ্যমে যে কেউ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য ১০০, ৫০০ বা ১০০০ টাকা হারে অনুদান দিতে পারবেন। তিনি বলেন, এই অনুদানের জন্য বিকাশের গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে না। এজেন্টদের যে অর্থ কাটা যাবে, তা বিকাশ তাদের ফেরত দেবে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে (https://www.liberationwarmuseumbd.org/bkash/) গিয়ে অনুদান দেওয়ার পেজে প্রবেশ করতে পারবেন গ্রাহক। এরপর নিজের নাম ও ই–মেইল আইডি নিবন্ধন করে টাকার পরিমাণ দিতে হবে। পরবর্তী ধাপে বিকাশ নম্বর দিলে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রাহকের মুঠোফোনে চলে যাবে। ওটিপি ও পিন দিয়ে অনলাইনেই অনুদান সম্পন্ন করতে পারবেন বিকাশ গ্রাহক। যাঁরা অনুদান দেবেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষ থেকে তাঁদের ই-মেইলে সনদ ও একটি স্মারক ছবি পাঠানো হবে। একজন গ্রাহক যতবার ইচ্ছা অনুদান দিতে পারবেন।

কামাল কাদীর বলেন, ‘বিকাশ এই কার্যক্রম থেকে কোনো পয়সা আয় করবে না। এটা আমাদের অঙ্গীকার। বিকাশের এখন তিন কোটি গ্রাহক রয়েছেন। সবাইকে নিয়ে এখানে কিছুটা অবদান রাখতে চাই আমরা।’