'গিভিং সিজন' নিয়ে মানুষের পাশে আবীর

ছবি: আবীর আবদুল্লাহ
ছবি: আবীর আবদুল্লাহ

করোভাইরাসের বিরূপ প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবনে। শুধু জীবনযাপনেই এই প্রভাব সীমাবদ্ধ নয়-জীবিকায়ও প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভীষণ কষ্টে আছে। দীর্ঘদিনের সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের কারণে অনেকেই কর্মহীন। আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসহায় এই মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় ‌‌‌‘‌আম্পান’ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার মতো হাজির হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরহীন শত শত পরিবার। খোলা আকাশের নিচে বাস করছে উপকূলের অনেক মানুষ।

এমন এক পরিস্থিতিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই মানুষগুলোর সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী এবং প্রথম আলোর আলোকচিত্রবিষয়ক পরামর্শক আবীর আবদুল্লাহ। ‘গিভিং সিজন’ শিরোনামে তিনি একটি অনলাইনভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি সবাইকে তাঁর বিখ্যাত সব আলোকচিত্রকর্ম কেনার আহ্বান জানিয়েছেন। ছবি বিক্রি করা টাকার পুরোটাই ব্যয় করা হবে করোনা এবং আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায়।

ছবি: আবীর আবদুল্লাহ
ছবি: আবীর আবদুল্লাহ

এই উদ্যোগ সম্পর্কে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমির অধ্যক্ষ আবীর আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আলোকচিত্রী হিসেবে আমি যেমন পেশাদার, তেমনি মানবিক দিক থেকেও আমার কিছু করার আছে। অনেকভাবেই সেটা করা সম্ভব। এভাবে ছবি বিক্রি করেও তহবিল গঠন করা যায়। সেই চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগটা নেওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাদের শুধু জীবন যাপন করে একটা সময়ে বিদায় নিতেই পৃথিবীতে পাঠাননি। আমার ন্যূনতম সামাজিক দায়ও রয়েছে। শুধু আলোকচিত্রী বলেই নয়, সবার জন্য এই কথা প্রযোজ্য।’

ছবি: আবীর আবদুল্লাহ
ছবি: আবীর আবদুল্লাহ

আবীর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হবে। আগ্রহী ক্রেতা www.abirabdullah.com –এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবীর আবদুল্লাহর যেকোনো ছবি কিনতে পারবেন। প্রিন্ট সাইজ–ভেদে একেকটি ছবির দাম পড়বে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। আবীর আবদুল্লাহ মনে করেন, একজন ক্রেতা ছবি কিনে আসলে এই দুর্যোগকালে একটি মানবিক উদ্যোগে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।