প্রবীণদের ঘর নেই, দেশ কি আছে

দেশে প্রবীণ মানুষেরা ক্রমেই নিরুপায় হয়ে পড়ছেন। পরিবারে তাঁরা যেন বোঝা হয়ে উঠছেন। অথচ একসময় তাঁরা ছিলেন দোর্দণ্ড অভিভাবক।

বৃদ্ধাশ্রমে প্রবীণ নারীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। সম্প্রতি বগুড়ার একটি বৃদ্ধাশ্রমে
ফাইল ছবি

অতীতে দেখা যেত, নারী যাত্রীর কাছে বাসের কন্ডাক্টর ভাড়া চাইতেন না। আওয়াজ তুলে জানতে চাইতেন, ‘লেডিস কার?’ দিন পাল্টেছে। ঘোর মফস্‌সল এলাকায়ও বাসে এখন এমন হাঁকডাক আর শোনা যায় না। এবার বাসে শুনলাম নতুন হাঁক, ‘মুরব্বি কার?’ বাসে একটু দূরে নারীদের নির্ধারিত আসনের ঠিক পেছনে ভাসানীর আদলে জামা পরিহিত এক প্রবীণ বসে ছিলেন।

পরনে চেক লুঙ্গি, গায়ে হালকা আকাশি রঙের পাঞ্জাবি, মাথায় তালের টুপি। মুখের মাস্কটা রং হারিয়েছে। চশমার এক চোখের কাচ কালো। হয়তো সদ্য একটা চোখের ছানি কাটিয়েছেন। তাঁর পাশের আসন খালি। কন্ডাক্টর প্রবীণ লোকটির ‘অভিভাবক’ খুঁজছিলেন। প্রায় প্রত্যেক যাত্রীছাউনিতে বাসে যাত্রী ওঠানামা করছেন। খালি আসন না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কিন্তু প্রবীণ মানুষটির পাশের খালি আসনে কেউ বসছেন না। তাঁর পোশাক, বয়স নাকি অসুস্থতা—কোন কারণে যাত্রীরা তাঁর পাশে বসছিলেন না, বোঝা যাচ্ছিল না। নাকি প্রবীণদের এড়িয়ে চলা এখনকার চল?

চলতি বছর সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ অনুযায়ী, দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার ৭১৯, যা মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। ২০১১ সালের জনশুমারিতে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

অথচ দেশে দেশে প্রবীণ মানুষেরা ক্রমেই ‘অচল’ আর ‘নিরুপায়’ হয়ে পড়ছেন। পরিবার-সমাজে কোণঠাসা এসব মানুষ দিন দিন বোঝা হয়ে উঠছেন। একসময়ের দোর্দণ্ড অভিভাবক চলে যাচ্ছেন অন্য কারও অভিভাবকত্বে, অন্য কোনো ঠিকানায়। বাসে হাঁকডাক ছেড়ে খোঁজা হচ্ছে ‘মুরব্বি কার’?

সংবাদমাধ্যমের সূত্রে পাঠকেরা হয়তো মাদারীপুরে এমন এক বুক ঠান্ডা করা হাঁকডাকের কথা শুনে থাকবেন। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছেন এক মুরব্বির অভিভাবকদের। এক গোরস্থানে পড়ে ছিলেন এই প্রবীণ নারী। তাঁকে এমন অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন তাঁর ‘সন্তানেরা’!

সড়কের পাশের এক দোকানির কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুরে একটি ভ্যানে করে এক তরুণ এই বৃদ্ধাকে স্কুলের পাশে সেতুর ওপর রেখে চলে যান। তখন ওই দোকানি বুঝতে পারেননি, এই বৃদ্ধাকে ওই তরুণ ফেলে গেছেন। বিকেলে ওই বৃদ্ধ নারীর কাছ থেকে জানতে পারেন, তাঁকে তাঁর সন্তান এই সেতুতে রেখে চলে গেছেন। যাওয়ার সময় বলে গেছেন, তাঁর জন্য খাবার আনতে যাচ্ছেন। কিন্তু ওই বৃদ্ধ মায়ের সন্তান আর ফেরেননি। ওই বৃদ্ধ নারী বলেছিলেন, তাঁর বাড়ি আমগ্রাম এলাকায়।

মাদারীপুর সদরের তাঁতীবাড়ী এলাকার লোকজন ওই প্রবীণ নারীকে আশ্রয় দিতে চাইলে তিনি রাজি হননি। বেছে নিয়েছেন রাস্তার পাশের এক পরিত্যক্ত গোরস্থান।

আগেও এমন অনেক ঘটনার খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। নারায়ণগঞ্জে অসুস্থ বৃদ্ধ মাকে রাস্তায় ফেলে গেলেন সন্তানেরা; চাঁপাইনবাবগঞ্জে অসুস্থ বৃদ্ধ মাকে রাস্তায় রেখে গেছেন ছেলে। সিরাজগঞ্জে অসুস্থ বৃদ্ধ মাকে রাস্তায় ফেলে যান সন্তানেরা। হাজার খবরের ভিড়ে এসব এখন গা-সওয়া খবর।

ফেলে যাওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি!

সব প্রবীণের অবস্থা ‘কেরোসিন’। এক রসিক গবেষক বললেন, কোনো কোনো প্রবীণের অবস্থা একেবারে ‘পোড়া মবিল’। প্রবীণ নারীরা যেন সেই পোড়া মবিল (মোটর অয়েল বা ইঞ্জিন অয়েলের একটা পেটেন্ট বা বাণিজ্যিক নাম মবিল।) নারীরা সংসারের মোটরে সারা জীবন তেল হয়ে পুড়তে পুড়তে শেষে পোড়া মবিলের মতো বর্জ্যতেলে পরিণত হন। তখন ইঞ্জিন চালু রাখতে তাঁকে ফেলে দিতে হয়।

ওই গবেষক বলছেন, প্রবীণ পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি গরিব, নিঃস্ব। প্রবীণেরা যদি সবচেয়ে দরিদ্র হন, তাঁদের মধ্যে দরিদ্রতম হচ্ছেন প্রবীণ নারীরা। সব প্রবীণের অবস্থা এক রকম নয়। তাঁদের মধ্যে নারী-পুরুষ, শহর-গ্রাম, সরকারি-বেসরকারি, শ্রেণি অবস্থান, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। বলা হয়, পরিস্থিতি সবারই নাজুক, তবে ‘বেশ-কম’ আছে। বিত্তবৈভব, নগর-গঞ্জ, পল্লি ও বস্তির মধ্যে পরিস্থিতির রকমফের আছে।

নারীদের সম্পদ কম বলেই কি এই অবস্থা

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের নলচিড়া গ্রামের শাহজাহান মৃধা সম্পত্তির কোনো ঝামেলা রাখেননি। মৃত্যুর ২০ বছর আগেই তিনি ৬৪ শতাংশ জমি স্ত্রী হালিমা বেগমকে লিখে দেন। ছেলেমেয়েদের দয়ার পাত্র হওয়ার হাত থেকে স্ত্রীকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর হালিমা বড় ছেলে মাহাবুবের কাছে থাকতেন। তবে মায়ের নামের ৬৪ শতাংশ জমি তিনি নিজের নামে লিখে নিতে নানা ফন্দিফিকির করছিলেন।

তাঁর হয়তো মনে হয়েছিল, মা মারা গেলে তাঁর জমির ভাগ অন্য ভাইবোনেরা চাইতে পারেন অথবা মা গোপনে তাঁর ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ জমির বণ্টননামা করে দিতে পারেন। চেষ্টার একপর্যায়ে সফল হন মাহবুব। মায়ের জমি তিনি নিজের নামে লিখে নেন। এর কিছুদিন পরই মাকে ঘর থেকে বের করে দেন তিনি। হালিমা শেষ পর্যন্ত বাজারের এক দোকানে আশ্রয় নেন।

গত জুনে বরিশালের গৌরনদীর হালিমা যখন জমি হারিয়ে নিঃস্ব, ঠিক সে সময়ে যশোরের চৌগাছা থেকে আরেক হতভাগিনী মায়ের খবর পাওয়া যায়। উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের তজবীজপুর গ্রামে প্রবীণ আছিরন বেগমকে তাঁর ছেলে ফেলে রাখেন একটি জরাজীর্ণ ঘরের বারান্দায়।

মাটির ঘরের জংধরা টিনের ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে, নেই আলো। অন্য ভাইবোনদের বঞ্চিত করে আগেই মায়ের জমি নিজের নামে লিখে নেন সেই ছেলে। বৃদ্ধ মা মলমূত্র ত্যাগ করে একটি ছেঁড়া কম্বলের মধ্যেই দিনের পর দিন পড়ে থাকেন। দিন কাটে খেয়ে না-খেয়ে। তাঁকে কেউ গোসল বা পরিষ্কার করায় না। কোনো প্রতিবেশী যদি কখনো পরিষ্কার করে দেন, সেটাই সই। অথচ ছেলে থাকেন ফ্ল্যাট বাড়িতে। শেষ পর্যন্ত ইউএনও ইরুফা সুলতানার হস্তক্ষেপে আছিরনের একটা গতি হয়। সেই ব্যবস্থা কতটা টেকসই হবে, কে জানে। পরের ইউএনও ফলোআপ করবেন?

বছর দুয়েক আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান কমপ্লেক্স ঘুরতে যাই। সেখানে চোখে পড়ে, সুলতান ঘাটের ওপর রাখা শিল্পী সুলতানের নৌকার নিচে বসে এক প্রবীণ নারী এক মনে পুরোনো কাঁথা সেলাই করছেন। প্রথমে কথা বলতে চাননি। ‘মা’ ডাক দিতেই তাঁর চোখ টলমল করে উঠল। আছিরন বা হালিমার মতো তাঁর জমি বেশি ছিল না।

স্বামী বা বাবার দেওয়া নয়, নিজের জমানো টাকায় দুর্দিন-অসময়ের কথা ভেবে পাঁচ শতক জমি রেখেছিলেন। ছোট ছেলে বিয়ে করে অন্য কোথাও (সম্ভবত ভারত) চলে যান। বড় ছেলে ওই বৃদ্ধ মায়ের জমি বিক্রি করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বাড়ি হারিয়ে মা মায়া রানী কুন্ডু এ-বাড়ি ও-বাড়ি থাকেন। সর্বশেষ তাঁর ঠাঁই হয় সুলতান ঘাটে এক নৌকার নিচে।

মায়া রানীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁর বয়স ৮৫ বছর। জানি না, তিনি এখন কোথায় কেমন আছেন। হয়তো বেঁচে আছেন, হয়তো নেই। সে সময় জেলা প্রশাসক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নেবেন। নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকার মৃত কালিপদ কুন্ডুর স্ত্রী মায়া রানী কুন্ডু একেবারে অপরিচিত কেউ নন।

কেন এমন হচ্ছে

শুনতে না চাইলেও বা মুখ ফুটে বলতে না পারলেও বাস্তবতা যেন এমন দাঁড়িয়েছে যে প্রবীণেরা আমাদের অর্থনীতিসর্বস্ব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ নন। এটাই বোধ হয় নিরুপায় প্রকৃতির নিয়ম। আমার ও আমাদের কাছে সন্তানদের ভবিষ্যৎ কোনো কোনো ক্ষেত্রে একমাত্র বিষয়। আমরা মুখে মুখে, কবিতায়, গানে, প্রবন্ধে, গল্পে, উপন্যাসে প্রবীণদের খোঁয়াড় বা বৃদ্ধাশ্রমবিরোধী। নচিকেতার গান শুনে রুমাল ভেজায়, কান্না পায়, চোখ মুছি, তালি দিয়ে বলি ‘আবার হোক’। অথচ আমাদের নজরে নেই তাঁরা। আমরা তাঁদের দেখতে পাই না, দেখার চেষ্টাও করি না।

সম্প্রতি ভিআইপি প্রবীণেরা পাসপোর্ট অফিসে প্রবীণদের জন্য আলাদা বুথ করার আওয়াজ তুলেছেন। দেশের প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে প্রবীণ ও অন্য বিশেষায়িত ব্যক্তিদের জন্য আলাদা আলাদা বুথ করে তাঁদের সেবা দিতে বলেছে জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী
কমিটি। শুধু কি পাসপোর্ট অফিসেই প্রবীণদের আনাগোনা? তাঁরা তো আরও অনেক জায়গায় সেবা নিতে যান, দাঁড়িয়ে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেসব কে দেখবে?

পেনশনভোগীদের জন্য ‘লাইফ ভেরিফিকেশন’ নামে এক যন্ত্রণার নিয়ম চালু আছে। বেঁচে আছেন সেটি প্রমাণ করতে কমপক্ষে প্রতি ১০ মাসে একবার জেলা বা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়। সামান্য হেরফের হলে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

সম্প্রতি এক বিশিষ্ট শব্দ ও কথাশিল্পী এবং বাংলাদেশ বেতারের সাবেক কর্মকর্তা তাঁর ‘বেঁচে থাকার’ প্রত্যয়ন সম্পর্কিত বিড়ম্বনার কথা লিখেছেন এভাবে, ‘আজ আমাকে জীবিত থাকিয়া প্রমাণ করিতে হইল, আমি মরি নাই। ব্যাপারটা খুলেই বলি। আমার মতো পেনশনভোগীদের বছরে একবার সংশ্লিষ্ট এলাকার হিসাবরক্ষণ অফিসে সশরীর হাজিরা দিয়ে প্রমাণ করতে হয়, সে বা তিনি এখনো জীবিত আছেন এবং তাঁর পরিবর্তে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি সেই পেনশনের অর্থ “মারিয়া খাইতেছে না।” এরই নাম “লাইফ ভেরিফিকেশন”। একমাত্র এই উদ্দেশ্যে আজ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম বা হতে বাধ্য হয়েছিলাম।’

৮০ পার করা হাসান মীর ৯-১০ বছর ধরে বিছানায়। অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি বিছানায় উঠে বসতে পারেন না। এমন মানুষেরও মাফ নেই। ‘হাকিম নড়ে কিন্তু হুকুম না নড়ার’ দেশে চলৎশক্তি নেই এমন প্রবীণদেরও ‘লাইফ ভেরিফিকেশন’ লাইনে দাঁড়াতে হয়।

প্রতিবেশী দেশ ভারত অনেক আগেই সশরীর হাজিরার বিধিতে পরিবর্তন করে অতিপ্রবীণদের হাজিরা থেকে রেহাই দিয়েছে। তাদের পেনশন প্রদান বিধির ১৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি পেনশনার শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী/অশক্ত এবং ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হতে অপারগ হন, তবে তাঁর সশরীর উপস্থিতির শর্ত মওকুফ করা হবে। এসব ক্ষেত্রে ব্যাংকের আধিকারিক পেনশনারকে শনাক্তকরণ ও নমুনা হস্তাক্ষর অথবা হাতের/পায়ের বুড়ো আঙুলের ছাপ সংগ্রহের জন্য তাঁর বাসস্থানে/হাসপাতালে সাক্ষাৎ করবেন।’

আশার কথা, বিষয়টি নিয়ে সরকার এখন ভাবছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গণমাধ্যমকে আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পেনশনব্যবস্থা সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে কোনো ধরনের বিড়ম্বনায় না পড়েন এবং নিজের সুবিধা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সে জন্য বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে।

একইভাবে আশার কথা শুনিয়েছেন সিজিএ অফিসের পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পেনশনারকে জীবিত প্রমাণে শিগগিরই অ্যাপ চালু হবে। এ জন্য পেনশনারকে সশরীর উপজেলা বা জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে যেতে হবে না। ঘরে বসেই মোবাইল অ্যাপ বা মেসেজের মাধ্যমে তা জানানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সরকার যখন চাইছে, আজ হোক কাল হোক সরকারি পেনশনারদের একটা হিল্লে হবে। চলাফেরায় অক্ষম প্রবীণদের গড়িয়ে গড়িয়ে, লোকজন ধরে সরকারি অফিসে গিয়ে আর হয়তো বলতে হবে না, ‘আমি এখনো বেঁচে আছি।’ কিন্তু সুলতানের নৌকার নিচে আশ্রয় নেওয়া মা মায়া রানী কুণ্ডু, গোরস্থানে আশ্রয় নেওয়া মা হালিমা, অন্যের বারান্দায় পড়ে থাকা আছিরনদের কী হবে?

গওহার নঈম ওয়ারা গবেষক

ই-মেইল: [email protected]