বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়ায় রিট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সময়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গেল বছর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আর সিটি করপোরেশনটির বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সে বছর অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তবে ওই তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষ করতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা আবদুর রহিম সরকার নামের এক ব্যক্তি আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট করেছেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল বুধবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী একরামুল হক।

পরে আইনজীবী একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এখনো রিপোর্ট দেয়নি। দুদকের অনুসন্ধানও শেষ হয়নি। এ অবস্থায় চলমান তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষ করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে। চলমান তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। দুদক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএফআইইউ, তদন্ত কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন

জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক হিসাব তদন্তের জন্য বিএফআইইউর প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীর এই আইনজীবী। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক হিসাবে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিএফআইইউএর প্রতি ওই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন। এরপর একই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। টেন্ডারবাজি, অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ করার পাশাপাশি বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গত জানুয়ারিতে তাঁকে ক্ষমা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

আরও পড়ুন