আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত গুমের তথ্য সংগ্রহ করবে কমিশন
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে তথ্য জানানোর জন্য নতুন করে তারিখ ও সময় নির্ধারণ করেছে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার নতুন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনের কাছে গুমের তথ্য জানানো যাবে।
গত ২৭ আগস্ট ওই কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার ভিকটিম নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগ জানাতে পারবেন।
কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথবা ডাকযোগে অথবা কমিশনের ই-মেইলে ১০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতি কর্মদিবসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করা যাবে। তবে বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে হটলাইনের মাধ্যমে সাক্ষাতের সময় নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
অভিযোগে গুমের ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ, ঘটনার স্থান, তারিখ ও সময়, অভিযোগকারী ও তাঁর মা-বাবার নাম, ভুক্তভোগীর নাম ও তাঁর মা-বাবার নাম, ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিযোগকারীর সম্পর্ক, অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীর ডাক-ঠিকানা, মুঠোফোন নম্বর, ই-মেইল ও অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা সংস্থার নাম-ঠিকানা ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া গুমের ঘটনার সমর্থনে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি, সাক্ষীদের নাম-ঠিকানার তালিকাসহ অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে) দাখিল করতে বলা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাঁদের শনাক্ত করা, কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল, তা নির্ধারণ করা এবং সে উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। এ ছাড়া গুম হওয়ার ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। এ ক্ষেত্রে সুপারিশও করতে পারবে কমিশন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।