অবকাঠামো নির্মাণে নগর পরিকল্পনাবিদদের যুক্ত করতে হবে

বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উপলক্ষ্যে ভার্চ্যুয়াল সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স

বাংলাদেশে যেসব রাস্তা–ঘাট তৈরি হচ্ছে সেগুলো বৈশ্বিক মানদন্ড অনুযায়ী হচ্ছে কি না, এই প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা। তিনি বলেছেন, মানুষ এসব ক্ষেত্রে পরিকল্পনাকে দায়ী করবে, কিন্তু যারা এই কাজগুলো করেন সেখানে কি নগর পরিকল্পনাবিদ যুক্ত আছেন? সড়ক ও জনপথে একজনও পরিকল্পনাবিদ নেই। এই জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে।

বুধবার বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ ফজলে রেজা। বিআইপির উদ্যোগে এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সহযোগিতায় ভার্চ্যুয়ালি এ অনুষ্ঠান হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বব্যাপী শিখুন, স্থানীয়ভাবে প্রয়োগ করুন’।

অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসানুল কবির বলেন, নগর পরিকল্পনাবিদেরা যখন পরিকল্পনা করবে জলবায়ু পরিবর্তনকে মাথায় রেখে এগোতে হবে। হঠাৎ বন্যা, ঢল, ভারী বৃষ্টির মতো দুর্যোগ এলে কীভাবে তা সামাল দেওয়া যাবে সেটা ভাবতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভূমিকম্প হচ্ছে। বাংলাদেশও ফল্ট লাইনে আছে। এ ধরনের দুর্যোগকে কেন্দ্র করে কী ধরনের প্রস্তুতি আছে।

বাংলাদেশে নগর পরিকল্পনায় বিদেশি বিষয়বস্তু যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় দেশীয় বিষয় তত গুরুত্ব পায় না বলে জানান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনাবিদ মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, নগর পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে, কমিউনিটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা।

ইউএন হ্যাবিট্যাটের ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান নগর পরিকল্পনায় স্থানীয় সরকারের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

বিআইপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শওকত আলী খান বলেন, এখন যেসব পরিকল্পনা হয় সেখানে কোনো নিয়ম–কানুন দেখা যায় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে যে নির্দেশনা আসে সে অনুযায়ী কাজ হয়।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম রহমান, সংগঠনের সাবেক সহ সভাপতি সালমা শফি, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের মতিন আবদুল্লাহসহ প্রমুখ।