সাভারে এসি বিস্ফোরণে আহত ৭

বিস্ফোরণপ্রতীকী ছবি: এএনআই

ঢাকার সাভার উপজেলার গেন্ডা এলাকায় একটি টেইলার্সের দোকানের এসি বিস্ফোরিত হয়ে পথচারীসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণে দোকানের কাচ ভেঙে ও বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আরও দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

তাৎক্ষণিকভাবে আহত তিনজনের নাম জানা গেলেও বাকিদের নাম–পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

এসি বিস্ফোরণে সামান্য আহত মো. আজাদ জানান, সোমবার রাত সোয়া আটটার দিকে বিকট শব্দে টেইলার্সের এসি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় টেইলার্সের ভেতরে থাকা তিনজন এবং বাইরের পথচারীসহ অন্তত সাতজন আহত হন। এর মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ ও কয়েকজন বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। দোকানের গ্লাস ভেঙে ছিটকে এসে মুখে লাগায় তিনিও সামান্য আহত হন।

সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, রাত ৮টা ২৫ মিনিটে সাভার পৌরসভা–সংলগ্ন গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আদ্রিতা ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্সে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তাঁরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন এসি বিস্ফোরণে ওই টেইলার্সসহ লাগোয়া পাশের আল আরাফা টেলিকম এবং খান জেনারেল স্টোরের টিনের শেড উড়ে গিয়ে পড়েছে। আগুন মূলত টেইলার্সে ধরেছিল, যা দ্রুতই স্থানীয় লোকজন নিভিয়ে ফেলেছেন।

সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মেহেরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। এসি বিস্ফোরণে কতজন দগ্ধ ও আহত হয়েছেন, সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কারণ, আমরা আহত কাউকে ঘটনাস্থলে পাইনি। তবে বস্ত্রালয়টির মালিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন।’

রাত ১১টার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার মো. মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ইউসুফ ও নাহিদ নামের দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এসেছেন এবং এখান থেকে তাঁদের ঢাকায় নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।