জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে তফসিল ঘোষণা স্বৈরাচারিতা ছাড়া কিছু নয়: হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী
ছবি: সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে তফসিল ঘোষণা স্বৈরাচারিতা ছাড়া কিছু নয়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে মাওলানা আজিজুল হক নিজেকে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে পরিচয় দেন। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে নির্বাচন কমিশন কখনো স্বাধীন হতে পারে না। সে কারণে শেষ দুটি জাতীয় নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছিল। এর ফলে ফ্যাসিবাদ চরম মাত্রায় উপনীত হতে পেরেছে। আরেকটি তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের এই ভূত আবারও জনগণের ঘাড়ে চেপে বসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, দেশের সব স্তরের বিরোধী দল আজ নির্বাচনের নামে প্রহসনের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ। সবাই এ তফসিল ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্রমশ চাপ দিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলো একযোগে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলেছে। কিন্তু সরকার কারও কথার তোয়াক্কা করছে না। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অপব্যবহার করে যাচ্ছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বিবৃতিতে আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বার্থে অবিলম্বে এই  সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে দেশের ওপর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মসিবত (বিপদ) এলে সেটার দায়ভার এ সরকারকেই নিতে হবে এবং জনগণের বিচার থেকে তারা রেহাই পাবে না।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।