মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক সাকিবের ৮ বছর কারাদণ্ড

এস এম সাকিব হোসেনছবি: সংগৃহীত

২০২১ সালে রাজধানীর জিন্দাবাহার লেনের একটি দোকান থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৯০ ভরি সোনা লুটের মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরও পাঁচ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন হারুন মুন্সি নামের এক আসামি।

ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মিলন।

দণ্ডিত অপর পাঁচ আসামি হলেন আমিনুল ইসলাম, জীবন পাল, রতন কুমার সেন, ইব্রাহিম সিকদার ও এমদাদুল হক। তাঁদের মধ্যে জীবন পাল পলাতক। তাই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালতের রায় ঘোষণার পর সাকিবসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঘটনার সময়কার পুলিশ–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছিল, ৭ জানুয়ারি সাকিব হোসেন, সেপাই আমিনুল ইসলাম ও সোর্স হারুন রাজধানীর জিন্দাবাহার লেনের একটি সোনার দোকানে যান। ডিবি পরিচয়ে তাঁরা ওই দোকানের মালিককে তুলে নিয়ে যান এবং ৯০ ভরি সোনা লুট করেন। এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী সোনা ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৫ অক্টোবর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

কারাদণ্ড পাওয়া এস এম সাকিব হোসেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক ছিলেন।

আরও পড়ুন