পাহাড় কেটে ভবন বানাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বন্ধ করতে বেলার আইনি নোটিশ

পাহাড় কাটা বন্ধ করতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (কউক) আইনি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধ করতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (কউক) আইনি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। পাহাড় কাটার জন্য কউকের চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে পাহাড় কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠায় বেলা। নোটিশে কউক চেয়ারম্যানকে ৬ নম্বর পক্ষ করা হয়। ১ নম্বর পক্ষ করা হয় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে। এ ছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিচালককে এ নোটিশ দেওয়া হয়। বেলার পক্ষে আইনজীবী জাকিয়া সুলতানা নোটিশে সই করেন।

বেলা চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মনিরা পারভিন প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত রোববার কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাহাড় কেটে জলাধার ভরাট করেছে কউক। এ ঘটনায় বেলার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত সব পাহাড় কাটা বন্ধে ২০১১ সালে বেলা একটি জনস্বার্থমূলক মামলা করে। মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১৯ মার্চ উল্লেখিত জেলাগুলোয় পাহাড় কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে উল্লেখিত এলাকায় পাহাড় কেটে কোনো আবাসন প্রকল্প বা ইটভাটা স্থাপন করা হয়ে থাকলে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বন উজাড় বন্ধ করতে এবং পাহাড়ি অঞ্চলে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের আধার ত্বরান্বিত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।

আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি কউক চেয়ারম্যান কক্সবাজার কলাতলী এলাকায় পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে মর্মে দেশের বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জঙ্গলে ভরপুর পাহাড়টি দুটি এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে কাটা হচ্ছে। পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে রাস্তার পাশের জলাধার ভরাট করা হয় বলে নোটিশ উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, প্রচলিত আইন ও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পাহাড় কাটা ও জলাশয় ভরাট করা সম্পূর্ণ নিষেধ। কউক চেয়ারম্যান পাহাড় কাটা ও জলাধার ভরাট করে দেশে প্রচলিত আইনের পরিপন্থী ও আদালতের আদেশের স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। তাই নোটিশের মাধ্যমে বেলা আদালতের আদেশ যথাযথ প্রতিপালন করে কউক চেয়ারম্যানের প্রতি কলাতলী এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধের দাবি জানায়।