মিরসরাই বিএনপির ১৩ নেতা–কর্মী কারাগারে

প্রতীকী ছবি

পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুননেসা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া ১৩ জন হলেন মিরসরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর শরীফ, মিরসরাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মাইন উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন, মাইন উদ্দীন মাহমুদ, জাহিদুল আফসার, গিয়াস উদ্দিন, শওকত আকবর, সরওয়ার হোসেন, আবদুল আউয়াল, মো. আলম ও সালেহ আহমদ।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এতে তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

আরও পড়ুন

গত ১৬ জানুয়ারি নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। আহত হন পুলিশের ৫ সদস্য। সংঘর্ষকালে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম শহরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করেছিল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, কাজীর দেউড়ি থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি মিছিল নাসিমন ভবনের দিকে আসার সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় চারটি মামলা করে। এসব মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার আত্মসমর্পণ করা এই ১৩ জন একটি মামলার আসামি।