হয়রানিমূলক মামলা না করতে চট্টগ্রাম নগরের ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম। বুধবার বিকেলে আদালতের সম্মেলনকক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রতিনিধিদের মধ্যে এক সভায় ওসিদের এমন নির্দেশ দেন তিনি।
সভার শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বিগত সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো ও এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া আসামিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে উপস্থাপনের বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তে ভুলত্রুটি পরিহার করে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে পুরোনো মামলার তদন্ত সমাপ্তি ও আদালত হাজতে আনা আসামিদের দুপুরের খাবারের সমস্যা সমাধান নিয়ে নিজের মত তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবদুর রশিদ অভিযোগপত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ওসিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভায় চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটরা। পুলিশের পক্ষে সভায় নগরের ১৬ থানার ওসি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), গোয়েন্দা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্প পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।