সিপাহি রইশুদ্দিন ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ শিকার নন: বিজিবি মহাপরিচালক

পিলখানায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পাঁচ দিনের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের আজ শনিবার শেষ দিনছবি: প্রথম আলো

যশোর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহি মো. রইশুদ্দিনের নিহত হওয়ার ঘটনাটি ‘টার্গেট কিলিং’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন এ বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

আজ বিজিবির সদর দপ্তর পিলখানায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক এ কথা বলেন।  

পিলখানায় বিজিবি–বিএসএফ পাঁচ দিনের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষ দিন ছিল আজ। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক।

যশোর সীমান্তে বিজিবির সিপাহি রইশুদ্দিন বিএসএফের ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ শিকার কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘তিনি টার্গেট কিলিংয়ের শিকার নন। ওই দিন অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সীমান্তে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সীমান্তে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটুক, তা আমরা চাই না।’

একই প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন, ‘ওই দিন কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে ইতিমধ্যে বিএসএফ বিজিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর ব্যাখ্যা করব না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে নিতিন আগ্রাওয়াল দাবি করেন, সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় গত বছর প্রায় ৬০ জন সদস্য (বিএসএফ) আহত হয়েছেন। তারা সাধারণত দা দিয়ে খুব কাছ থেকে বিএসএফের ওপর আক্রমণ করে। তখন প্রাণ রক্ষায় বিএসএফ গুলি করে। তিনি আরও বলেন, বিপুলসংখ্যক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়, পরে বিজিবির কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

বিএসএফ মহাপরিচালকের দাবি, সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না। তবে খুব কাছ থেকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। কাছ থেকে রাবার বুলেট ছুড়লে সেটি দিয়েও মৃত্যু হতে পারে।

সীমান্তে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিএসএফ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন নিতিন আগারওয়াল। এ জন্য সীমান্তে যৌথ অভিযান, তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানসহ নানা কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।