অক্সফোর্ডের টিকা বাংলাদেশে আমদানি ও ব্যবহারের অনুমোদন

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট
প্রতীকী ছবি: এএফপি

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আইয়ুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বেক্সিমকোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এ কারণে বেক্সিমকোর আবেদনের পর এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে অক্সফোর্ডের টিকাটি বাংলাদেশে আনা ও ব্যবহারের জন্য এই অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। ইতিমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার ব্যাপারে সরকার, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ও সেরাম ইনস্টিউটের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।

বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান আজ গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ঔষধ প্রশাসন এই টিকা বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন ও রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে ভারত থেকে দেশে টিকা আনা হবে। তিনি জানান, তাঁরা রেজিস্ট্রেশনের জন্য গত বৃহস্পতিবার সব ধরনের ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন। ব্যাংক গ্যারান্টি সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ অনেকেই বলেছেন চলতি মাসের শেষে বা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ভাগে করোনাভাইরাসের টিকা দেশে পৌঁছাবে।

অবশ্য সেরাম ইনস্টিটিউট বলেছে, ভারত থেকে টিকা রপ্তানির ব্যাপারে দেশটির সরকার এখন পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি। তাদের এই বক্তব্যের পর এ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান ও বেক্সিমকোর মুখপাত্র আজ বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন বাংলাদেশের টিকা পেতে কোনো সমস্যা নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকা পেতে সমস্যা হবে না উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ বন্ধুত্বের ওপর আমার আস্থা আছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, যথাসময়ে টিকা পাওয়া যাবে।