অমিক্রনে কত মৃত্যু, বলা দুরূহ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ছবি: সংগৃহীত

দেশে করোনায় মৃতদের মধ্যে অমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা বলা দুরূহ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি আজ বুধবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ কথা বলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ (আইইডিসিআর) একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

গত ৯ ডিসেম্বর দেশে প্রথম করোনার অমিক্রন ধরনের সংক্রমণ শনাক্তের খবর জানা যায়। এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছিলেন জিম্বাবুয়েফেরত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্য। তাঁরা সবাই সুস্থ হয়ে পরে বাড়িতে ফেরেন।

দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে রোগী বাড়তে শুরু করে। ৬ জানুয়ারি দৈনিক রোগী শনাক্ত হাজার ছাড়ায়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১০ হাজারের ওপরে ছিল। পরে অবশ্য এ হার ১০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। সংক্রমণের হার একটু নিম্নগামী হলেও বাড়ছে মৃত্যু। গতকাল দেশে ৪৩ জনের মৃত্যু হয় করোনায়।

আজ অধ্যাপক নাজমুল আলম বলেন, দেখা গেছে, করোনায় মৃতদের প্রায় ৮০ শতাংশ টিকা নেননি। করোনা প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্য মেনে চলার যথেষ্ট গুরুত্ব আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক নাজমুল বলেন, অমিক্রন তত বেশি ক্ষতি করে না, এটা একটা মিথ। এ ধরনের বিশ্বাসের কোনো কারণ নেই।

দেশে টিকাদান অব্যাহত আছে বলে জানান নাজমুল ইসলাম। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যেও এ হার আশাব্যঞ্জক বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১ কোটি ৪২ লাখ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের এবং ৩০ লাখ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ১ কোটি ৮১ লাখ প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৫৫ লাখ দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।