করোনার টিকা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ

দেশে করোনার টিকা নিচ্ছেন লোকজন
ফাইল ছবি

দেশে এ পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৩৯ লাখ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫ এবং নারী ১৪ লাখ ২৭ হাজার ২৬৩ জন। টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৯ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩।

এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪১ হাজার ৪৬৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৫ হাজার ৫৭ এবং নারী ১৬ হাজার ৪১০ জন।

এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৪ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭ হাজার ৯৭৫ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ৪ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৭ জন। আর প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৭ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২০ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪১১ জন, প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৭৯১ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৬৯৮ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়।

দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।