করোনার তথ্য জানতে ২ কোটি সাড়ে ১১ লাখের বেশি ফোনকল

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত তথ্য জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিনটি হটলাইন নম্বরে সাড়ে ছয় মাসে ২ কোটি ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৩টি ফোন এসেছে। এর মধ্যে গত রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফোন এসেছে ৪৬ হাজার ৭৭০টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। করোনা-সংক্রান্ত সেবা পাওয়ার তিনটি ফোন নম্বর হচ্ছে ১৬২৬৩ (স্বাস্থ্য বাতায়ন), ৩৩৩ (হটলাইন), ১০৬৫৫ (আইইডিসিআরের হটলাইন)।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইনের (১৬২৬৩ ও ৩৩৩) মাধ্যমে সাড়ে ছয় মাসে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ২০১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এই সেবা নিয়েছেন ৪ হাজার ৫০৬ জন।

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৫ জনের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ হাজার ১৯৩ জন। বেশ কিছু দিন ধরে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা এবং পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার কমছে। তবে সে অনুপাতে মৃত্যু কমছে না। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১১ হাজার ৯২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৪০৭ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

দেশে আক্রান্তদের বেশির ভাগের লক্ষণ বা উপসর্গ মৃদু। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সে হিসাবে বাকিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। শুরুর দিকে সংক্রমণ কম ছিল। ক্রমে সেটি বেড়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে। জুনে সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে। আগস্ট থেকে নতুন রোগীর সংখ্যা কমতে দেখা যায়।

তবে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলছে, কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও এখনো তা স্বস্তিকর মাত্রায় আসেনি। প্রতিবেশী ভারতে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও মানুষের মধ্যে শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। এসব কারণে দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে কমিটি।