করোনায় বগুড়ার আরও তিনজনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের বাড়ি বগুড়া শহরে এবং দুজনের বাড়ি শেরপুর উপজেলায়। আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার একটি হাসপাতালে এবং গতকাল বুধবার বগুড়া ও রাজধানীর দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা মারা যান।

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান এজাজুল হক (৬১)। তিনি বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তাঁর বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায়। তিনি বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী এলাকায় বসবাস করতেন। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক বলেন, এজাজুল হক করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর ৩১ অক্টোবর শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম সাইদুর রহমান (৭৫)। তিনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। অন্যদিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীর নাম সানোয়ার হোসেন (৭২)। তাঁর বাড়ি বগুড়ার শেরপুর শহরের গোসাইবাড়ি এলাকায়। তিনি পূবালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ছিলেন।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাইদুর রহমানকে ৪ নভেম্বর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষার পর ওই দিনই তিনি করোনা শনাক্ত হন। অবস্থার অবনতি ঘটলে ৮ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।

সানোয়ার হোসেনের ছোট ভাই ও শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব জানান, জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁর ভাইকে (সানোয়ার) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নমুনা পরীক্ষার পর তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে তাঁকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলায় আরও ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৩১৫। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৬।