করোনায় মৃত্যু ২ জনের, শনাক্ত ১৯০২

করোনায় স্বজনহারা হয়েছেন বহু মানুষ
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১ হাজার ৯০২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ছয়জনের। আর করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ১০৫ জনের।

টানা চার দিন দৈনিক শনাক্ত দুই হাজারের ওপরে থাকার পর তিন দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে রয়েছে।

রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৩। আগের দিন এ হার ছিল ১৩ দশমিক ২২।

এর আগে দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০-এর ওপরে ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে কমে আসে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের একজন ঢাকা বিভাগের, অন্যজন চট্টগ্রামের। তাঁদের একজন পুরুষ, আরেকজন নারী।

বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।

করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমেছে। দেশে সংক্রমণ কমে আসায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তুলে নেওয়া হয় করোনাকালীন বিধিনিষেধ। গত ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০-এর নিচেই ছিল। এর পর থেকে তা বেড়েছে।

সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ২৯৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৬২ জনের।

দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সব জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। মাস্ক না পরলে শাস্তি দেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সরকারের করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বর্জন করার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানে (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।