করোনায় তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু

দেশে করোনার টিকাদান বৃদ্ধির পর মৃত্যু ও সংক্রমণ কমেছে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৮ জন।

দেশে করোনার ডেলটা ধরনের প্রাদুর্ভাবে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়তে থাকে। আড়াই মাসের মতো দাপট চালিয়ে গেছে করোনার অতি সংক্রামক এই ধরন। এর মধ্যে গত ৫ ও ১০ জুলাই দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর খবর আসে।

এদিকে গত আগস্টের মাসের প্রথম দিকে দেশে শুরু হয় করোনার গণটিকাদান, এরপর মাসের শেষ দিকে এসে কমতে থাকে সংক্রমণ। টানা দুই মাস পর গত ২৮ আগস্ট করোনায় ১০০–এর কম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর দৈনিক মৃত্যুর কমতে থাকার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর এলো। করোনার এই দফার দাপটের মধ্যে এর চেয়ে কম ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ৯ জুন। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে দৈনিক মৃত্যু বেড়েছিল।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩২৫ জন। আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল ৫৮ জনের, আর রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৫৮৮ জন। আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ।

এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ২১৫ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৮৩২ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৭ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ হাজার ৮৭৮ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৭৬।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন এবং খুলনা বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্য বিভাগের।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী।