কুষ্টিয়ায় এক দিনে সর্বোচ্চ ৪৩২ জনের করোনা শনাক্ত

করোনা সন্দেহে তাপমাত্রা পরীক্ষার প্রতীকী ছবি।

কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। একই সময়ে করোনায় জেলার ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ২২১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরে রয়েছেন সর্বোচ্চ ১০৯ জন। এ ছাড়া ভেড়ামারায় ১০২ জন, কুমারখালীতে ৭৮ জন, দৌলতপুরে ৭৩ জন, মিরপুরে ৩৬ জন ও খোকসায় ৩৪ জন রয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় জেলায় শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ১৯৮।অন্যদিকে এখন পর্যন্ত জেলায় ২৭৫ জন করোনায় মারা গেছেন।

এদিকে গতকাল রাতে কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এক করোনা রোগীর মৃত্যুর পর ওই রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করছেন, দায়িত্বরত নার্সের অবহেলায় এই মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নার্গিস খাতুন (৪২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। এর আগে গত শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকায়।

নার্গিসের বড় ভাই মোহাম্মদ নয়ন অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বোন ভর্তি ছিলেন। সিলিন্ডারের মাধ্যমে তাঁর বোনকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। সোমবার রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় বোনকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন দেওয়ার জন্য ১০ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করতে এক নার্সের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু ওই নার্স সহযোগিতা না করে উল্টো খারাপ আচরণ করেন। একপর্যায়ে তাঁর বোন মারা যান।

অভিযুক্ত ওই নার্সের নাম–পরিচয় জানাতে পারেননি নার্গিসের পরিবার। তবে তিনি ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ছিলেন বলে জানান তাঁরা। নয়ন বলেন, ‘এ ব্যাপারে হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ছাত্রলীগের কর্মীদের কাছে রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমরা লাশ নিয়ে বাড়ি চলে যাই। এ ঘটনায় আমরা সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘এ রকম একটা ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যতটা বলা হচ্ছে, ঘটনা ততটা না। তারপরও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’