গরিব দেশগুলো বিপর্যস্ত, স্বাভাবিক হচ্ছে ধনীরা

করোনার সংক্রমণের ভয় কেটেছে। মানুষের ভিড় বেড়েছে নাইটক্লাবে। ৩০ এপ্রিল, যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে।
ছবি: রয়টার্স

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে। উন্নত দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ টিকা পেয়ে গেছেন। সেখানে সংক্রমণ আগের চেয়ে কমে আসছে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন। অনেকেই গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ধীরে ধীরে গতি ফিরে পাচ্ছে অর্থনীতি। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে দেখুন, অনেক দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় টিকা পাচ্ছে না এসব দেশ। পেলেও কাজে লাগাতে পারছে না। ফলে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীও টিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

করোনাকালে এমন পরিস্থিতি উন্নত ও উন্নয়নপ্রত্যাশী বিশ্বের মধ্যকার বৈষম্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, যা আগামী দিনগুলোয় আরও প্রকট হতে পারে। বৈষম্যের চিত্র এতটাই মারাত্মক যে করোনার ধাক্কা সামলে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে যখন ক্লাব-রেস্টুরেন্ট চালু হচ্ছে, তখন ভারতে অক্সিজেনের অভাবে কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর মিছিল দেখা যাচ্ছে। শোচনীয় পরিস্থিতিতে পড়েছে ব্রাজিলও।

করোনাবিষয়ক বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় খুলেছে রেস্টুরেন্ট। ২১ এপ্রিল, ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে।
ছবি: রয়টার্স

করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে টিকা দেওয়া। তবে টিকার বেশির ভাগ ব্যবহার হয়েছে উন্নত দেশগুলোয়। টিকা প্রাপ্তিতে এ বৈষম্য দূর করতে গত বছর প্রায় ১৯২টি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় কোভ্যাক্স নামে সহযোগিতামূলক বৈশ্বিক উদ্যোগ শুরু করেছিল। এমনকি ভারতের কারখানায় গরিব দেশগুলোর জন্য করোনার টিকা উৎপাদনে ৩০ কোটি ডলার দিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা বৈশ্বিক মানবাধিকার।

তবে টিকার প্রাপ্তি ও বৈষম্য দূর করার পথে এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে এসব উদ্যোগ, যার কারণে উন্নয়নপ্রত্যাশী দেশগুলোয় সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। বিশেষত, ভারত ও দক্ষিণ আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে টিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস ভারত। এখন দেশটি নিজেই মানবিক সংকটে পড়েছে। বেড়েছে টিকার অভ্যন্তরীণ চাহিদা। এ কারণে করোনার টিকা রপ্তানি সাময়িক বন্ধ রেখেছে ভারত। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স। কেননা, এ উদ্যোগের আওতায় বেশির ভাগ টিকা ভারত থেকে সরবরাহ করার কথা রয়েছে।

ভারত থেকে টিকা সরবরাহের ওপর নির্ভর করে থাকলে কোভ্যাক্সকে মূল্য দিতে হবে।
—জেইন রিজভি, বিশেষজ্ঞ, পাবলিক সিটিজেন।

ব্রাজিলে এখন প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন। অথচ দেশটিতে পর্যাপ্ত টিকা নেই। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ব্রাজিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার যে পরিমাণ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল, পেয়েছে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ।

দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তা

বাংলাদেশ ও ঘানার মতো দেশগুলো শুরুর দিকে চুক্তি কিংবা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পেতে শুরু করেছিল। এসব দেশের অনেক মানুষ টিকার

প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এখন টিকা সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও ঘানার অনেক মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।

পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালওয়ির মাত্র ২ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা পেয়েছেন। দেশটির চিকিৎসক ও টিকা বিশেষজ্ঞ বোস্টন জিম্বা বলেন, এটা নৈতিকতার বিষয়। এটা (বৈষম্য) নিয়ে উন্নত ও ধনী দেশগুলোকে ভাবতে হবে।

শুধু সরবরাহ ঘাটতি নয়, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রক্রিয়াগত সমস্যা এবং টিকা নিতে মানুষের মধ্যকার অনীহা সংকট আরও জটিল করে তুলছে। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা কেয়ার জানিয়েছে, করোনার টিকার একটি ডোজ উৎপাদনে যদি এক ডলার ব্যয় হয়, সেই টিকা কারখানা থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানো থেকে শুরু করে সংরক্ষণ, প্রয়োগে আরও ৫ ডলার প্রয়োজন হয়। অনেক দেশেই টিকা সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। টিকাদানকর্মীদের বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণে খুব সামান্য বিনিয়োগ করা হয়। এসব সমস্যা দেশে দেশে সংকট আরও জটিল করে তুলেছে। প্রয়োজনীয় টিকা না পাওয়া দেশগুলো মহামারি দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে লাখো-কোটি ডলারের লোকসান হতে পারে।

কোভ্যাক্সের পাঠানো অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকার প্রথম ব্যাচ উড়োজাহাজ থেকে নামানো হচ্ছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ঘানার আক্রা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
ছবি: রয়টার্স

টিকা জাতীয়তাবাদ

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন করোনার টিকা কিংবা টিকার কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। প্রতিটি দেশই আগে নিজেদের প্রয়োজনীয় টিকা নিশ্চিত করতে চায়। এমন প্রবণতাকে ‘টিকা জাতীয়তাবাদ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত করোনার টিকার ছয় কোটি ডোজ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশকে ১০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিতে চেয়েছে সুইডেন। তবে কবে নাগাদ অনুদানের এসব টিকা পাওয়া যাবে, সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে উন্নত দেশগুলো করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে লড়তে নিজেদের সব নাগরিকের জন্য টিকা নিশ্চিত করতে জোর দিয়েছে। এ জন্য এসব দেশ টিকার উৎপাদন বাড়াতে চায়। টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ধনী ও উন্নত দেশগুলোয় বাড়তি টিকা বিক্রি করছে। লাভ করছে প্রচুর। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান করপোরেট আয়ের লভ্যাংশ গরিবদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে খুব একটা আগ্রহী নয়।

২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৩৫০ কোটি ডলারের টিকা বিক্রি করেছে মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার। অথচ প্রতিষ্ঠানটি স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য চলতি বছর তাদের উৎপাদিত ২ শতাংশের কম টিকা কোভ্যাক্সে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বছর শেষে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার সমমূল্যের করোনার টিকা বিক্রির আশা করছে আরেকটি মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না। প্রতিষ্ঠানটি চলতি সপ্তাহে এসে কোভ্যাক্সে টিকা সরবরাহে রাজি হয়েছে।

অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকার ফাইল।
ছবি: রয়টার্স

টিকা জাতীয়তাবাদ ও করপোরেট লভ্যাংশ ভাগ করে না নেওয়ার প্রবণতার পাশাপাশি করোনার টিকার ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গরিব দেশগুলোকে অনুদান হিসেবে টিকা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু তাঁর প্রশাসন স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য এসব দেশকে টিকার মেধাস্বত্ব দিতে নারাজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেধাস্বত্ব পেলে যেসব দেশের সক্ষমতা রয়েছে, তারা নিজেরাই করোনার টিকা উৎপাদন করতে পারত। এতে টিকার উৎপাদন বাড়ত। দ্রুত মহামারির লাগাম টানা সহজ হতো।

স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদন করা গেলে মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বাড়ত বলেও মনে করা হচ্ছে। ভিনদেশে উৎপাদিত টিকার মান নিয়ে অনেকের ভীতি কেটে যেত। এ বিষয়ে আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স টিশিশেকেদি বলেছেন, এতে মানুষের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ত। কারণ, তাঁরা বুঝতে পারতেন এ টিকা আমাদের জন্য আমরাই উৎপাদন করেছি।

কোভ্যাক্সের সরবরাহের ঘাটতি

পাবলিক সিটিজেন নামের ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি অ্যাডভোকেসি সংগঠনের ওষুধপ্রাপ্তিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ জেইন রিজভি সতর্ক করে বলেন, ভারত থেকে টিকা সরবরাহের ওপর নির্ভর করে থাকলে কোভ্যাক্সকে মূল্য দিতে হবে। এপ্রিলের মধ্যে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডোজ করোনার টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি গত জানুয়ারিতেই দিয়ে রেখেছিল কোভ্যাক্স। মে মাসের মধ্যে সরবরাহের কথা রয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা। আর বছর শেষে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় সব মিলিয়ে ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের কথা রয়েছে কোভ্যাক্সের।

ভারতের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে আপাতত দেশের ভেতরেই টিকা সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অন্য কোনো দেশ এখনই টিকা পাবে না।
—আদর পুনেওয়ালা, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান।

তবে প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পূরণ করতে

পারেনি কোভ্যাক্স। জেইন রিজভি জানান, গত মার্চের শেষে প্রতিশ্রুতির এক-তৃতীয়াংশ টিকা সরবরাহ করতে পেরেছে কোভ্যাক্স। আর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে সাকল্যে ৫ কোটি ২৪ লাখ ডোজ করোনার টিকা, যা এপ্রিল পর্যন্ত সরবরাহ লক্ষ্যের এক-চতুর্থাংশের কম। এ পরিস্থিতিতে টিকা সরবরাহের বৈশ্বিক জোট গাভি বলছে, এখন করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে উদ্বৃত্ত টিকা গরিব দেশকে দিতে ধনী দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

একদিকে গরিব দেশগুলো করোনার টিকার তীব্র সংকটে ভুগছে। বাংলাদেশ, ঘানাসহ বিভিন্ন দেশের অনেক মানুষ সময়মতো টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। অন্যদিকে অনেক ধনী দেশের হাতে টিকার উদ্বৃত্ত রয়েছে। সময়মতো ব্যবহার না হলে মজুত করা টিকার মেয়াদ পেরিয়ে যেতে পারে। নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি কয়েকটি গরিব দেশ পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও লক্ষ্য অনুযায়ী টিকা দিতে পারেনি। এসব টিকাও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

কেয়ার জানিয়েছে, আফ্রিকার দেশগুলোয় টিকা নিয়ে সংকট বেশ তীব্র। তুলনামূলক দরিদ্র এ মহাদেশের প্রায় দুই ডজন দেশ লক্ষ্য অনুযায়ী টিকা দিতে পারেনি। দুই মাস আগে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো কোভ্যাক্স থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ১৭ লাখ ডোজ করোনার টিকা পেয়েছে। এপ্রিলে দেশটিতে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে দেশটিতে দুই হাজারের কম মানুষ টিকা নিয়েছেন। এ কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ব্যবহার না হওয়া টিকা প্রতিবেশীদের দিয়ে দিতে হতে পারে দেশটিকে।

অনেকটা একই পরিস্থিতি আইভরি কোস্টেও। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দেশটি কোভ্যাক্সের কাছ থেকে পাঁচ লাখ চার হাজার ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকা পেয়েছিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ডোজের মতো টিকা। দেশটির মানুষের মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেশ কম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আফ্রিকার অনেক মানুষের ভয় রয়েছে। এ ভয় কাটাতে সরকারগুলোর পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রচারণাও চালানো হয়নি। কিংবা অনেক পরে প্রচার শুরু হয়েছে। তাই মানুষ টিকা নিচ্ছেন না।

একদিকে ধনী দেশগুলোয় টিকার বাড়তি মজুত রয়েছে, অন্যদিকে অনেক গরিব দেশ টিকা পেয়েও নির্দিষ্ট সময়ে কাজে লাগাতে পারছে না। আবার স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশ চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে না। এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে করোনার অতিসংক্রামক ভারতীয় ধরন উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান আদর পুনেওয়ালা জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে আপাতত দেশের ভেতরেই টিকা সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অন্য কোনো দেশ এখনই টিকা পাবে না।

l ভাষান্তর: অনিন্দ্য সাইমুম