চার দিন ধরে করোনা শনাক্ত হাজারের বেশি

দেশে টানা চতুর্থ দিনের মতো এক হাজারের বেশি ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকার আটটা পর্যন্ত) ১ হাজার ১৪ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় করোনায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৫২৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১০ হাজার ৩১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরেখায় আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা যাচ্ছে। চার সপ্তাহ ধরে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মাস্ক পরা নিয়ে লোকজনের উদাসীনতা চরম মাত্রায় উঠেছে। ফলে সামনের দিনগুলোয় সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে গত বছরের ১৮ মার্চ।

দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।