চীনফেরত জাহাজের সাত নাবিকের করোনার উপসর্গ, পণ্য খালাস বন্ধ

প্রতীকী ছবি

চীন থেকে সার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি জাহাজের অন্তত সাতজন নাবিকের শরীরে তাপমাত্রা বেশি পাওয়া গেছে। করোনার উপসর্গ থাকায় জাহাজে নাবিকদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এরপরই ওই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

চীনের ন্যানটং বন্দর থেকে আসা জাহাজটির নাম এমভি সেরেন জুনিপার। বাহামার পতাকাবাহী জাহাজটিতে ৪৬ হাজার ৩০০ টন ডিএপি সার রয়েছে। ১২ আগস্ট জাহাজটি বন্দর জলসীমায় পৌঁছায়। এটি এখন বন্দরের বহির্নোঙরে রয়েছে।

জানতে চাইলে সহকারী বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন স্থানীয় শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে নাবিকদের করোনার উপসর্গ থাকার বিষয়টি অবহিত করেছেন। এরপরই সাগরে অবস্থানরত জাহাজে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়া একটি জাহাজ ভারতের প্যারাদ্বীপ বন্দরে যাওয়ার পর ৯ জন নাবিকের করোনা শনাক্ত হয়। চট্টগ্রামে পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তা গোপন করে জাহাজটি ভারতের বন্দরে নিয়ে যান মাস্টার।

এমভি ভিনটেজ জাহাজটি বন্দর ছেড়ে যায় ১৭ আগস্ট। করোনার উপসর্গ থাকায় আগের দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে নাবিকদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। জাহাজটির মালিকপক্ষের প্রতিনিধির মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। জাহাজ বন্দর ছেড়ে যাওয়ার আগের দিন রাতে পরীক্ষার ফলাফলে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তবে জাহাজের মাস্টার তা গোপন করে বন্দর ত্যাগ করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজের কোনো নাবিক অসুস্থ হলে বা করোনার উপসর্গ থাকলে জাহাজের মাস্টার স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবহিত করার কথা। বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিষয়টি না জানিয়ে মাস্টার গোপন করেছে বলে সহকারী বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

জাহাজটি পরিচালনা করছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক দাবা প্রাইভেট লিমিটেড। জাহাজটির মালিকপক্ষ গ্রিসভিত্তিক ভেনটেজ শিপিং। জাহাজটি পরিচালনাকারীর পক্ষে চট্টগ্রামের স্থানীয় এজেন্ট ছিল সেভেন সিজ শিপিং লাইন।

সেভেন সিজ শিপিং লাইনের কর্ণধার আলী আকবর প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাহাজের মাস্টারই জাহাজ পরিচালন করেন। তিনি আমাদের কিছু না জানিয়ে গোপনে পরীক্ষা করে ফলাফলের তথ্য লুকিয়েছেন। এখন প্যারাদ্বীপ বন্দরে আটক রয়েছে জাহাজটি।’