বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৫২

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ও হার আরও এক দফা কমেছে। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বিভাগে নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত বিভাগে ২৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭০। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৫৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ২৮। গতকাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ২৭ জন। এ ছাড়া পটুয়াখালীতে ৮, ভোলায় ১১, বরগুনায় ৫ ও ঝালকাঠিতে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে পিরোজপুরে কোনো নমুনা সংগ্রহ না হওয়ায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের ৫ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে করোনায় ও উপসর্গে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। তবে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে ১৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিভাগে করোনার তৃতীয় ঢেউ চূড়ায় পৌঁছায়। ওই সময় থেকে জানুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত বিভাগে করোনার সংক্রমণ ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। এরপর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে তা ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হচ্ছে। ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত বিভাগে ৬ হাজার ২৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপপরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই সংক্রমণের হার ও সংখ্যা কিছুটা কমেছে; তবে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলা যাবে না। এ পরিস্থিতি ধরে রাখার জন্য সাধারণ মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা করতে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।