বাংলাদেশে শিগগিরই আসছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩৫ লাখ টিকা

অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনার টিকার
ফাইল ছবি। রয়টার্স

টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কিংবা আগস্টের শুরুতে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩৫ লাখ টিকা পেতে যাচ্ছে। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অভাবে যে ১৫ লাখ লোক দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাচ্ছিলেন না, সেই সংকট কেটে যেতে পারে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের চুক্তি অনুযায়ী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ বুধবার তাঁর বাসায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে জাপান কোভ্যাক্সের আওতায় বড়সংখ্যক টিকার চালান পাঠাবে। কোভ্যাক্সের আওতায় বলে এটা বিনা মূল্যে পাব। জাপান থেকে আড়াই মিলিয়ন টিকা পেতে পারি।’

জাপান কোন টিকা পাঠাবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের কাছ থেকে আমরা অ্যাস্ট্র্যাজেনেকার টিকা পাব। আর কোভ্যাক্সের আওতায় ইউরোপ থেকে বাংলাদেশ ১০ লাখ টিকা পাবে।’

প্রসঙ্গত, টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সে দুইভাবে টিকা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমত, বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোভ্যাক্সকে টিকা কিনে দেয়। দ্বিতীয়ত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কোভ্যাক্সকে টিকা কিনতে টাকা দেয়। ওই অর্থ দিয়ে কোভ্যাক্স প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা কিনছে।

এদিকে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোভ্যাক্স যে টিকা সংগ্রহ করছে, তার ৬০ শতাংশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সরবরাহ করার কথা। ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে সেরাম বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি কোভ্যাক্সেও টিকা সরবরাহ বন্ধ রেখেছ। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মজুতে থাকা আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনে নিচ্ছে কোভ্যাক্স। এখন বাংলাদেশকে আ্যস্ট্রাজেনেকার যে টিকা কোভ্যাক্স সরবরাহ করবে, সেটি কোভ্যাক্সের নিজ তহবিল থেকে যুক্তরাজ্য, ইতালি, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হয়েছে।

বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, জাপানের দেওয়া এবং কোভ্যাক্সের তহবিল থেকে কেনা আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে একেবারে কাছাকাছি সময়ে পৌঁছাবে।