‘বুস্টার’ ডোজ দেওয়া শুরু, নতুন নিবন্ধনের দরকার নেই
আজ মঙ্গলবার করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিরা বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধন করার দরকার হবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। তবে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, বুস্টার ডোজের জন্য নতুন করে নিবন্ধন করার দরকার হবে না। দুই ডোজ পেয়েছেন এমন ব্যক্তিদের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ও আইসিটি বিভাগের কাছে আছে। যে কেন্দ্র থেকে গ্রহীতা প্রথম দুই ডোজ নিয়েছেন, সেই কেন্দ্রেই বুস্টার ডোজ নিতে হবে। কোন তারিখে বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে, তা মুঠোফোনের খুদে বার্তায় পাওয়া যাবে।
করোনা টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আহমেদুল কবীর বলেন, ‘একটি কেন্দ্রে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে ৫০০ ডোজ দেওয়া হলে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে ১০০ ডোজ।’ তিনি বলেন, পাঁচজনে একজন এই অনুপাতে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
১৯ ডিসেম্বর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তাকে প্রথম বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। ওই দিন একাধিক মন্ত্রীসহ মোট ৪৪ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। দেশে করোনার টিকা প্রথম পেয়েছিলেন রুনু বেরোনিকা কস্তা।
সরকার দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে বা সাড়ে ১৩ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৮ কোটি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ৫০ লাখ মানুষ এখনো কোনো টিকাই পাননি। জনস্বাস্থ্যবিদদের একটি অংশ মনে করে, বুস্টার ডোজ দেওয়ার চেয়ে বেশি মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় আনা জরুরি।