যুক্তরাষ্ট্রের টিকা নিয়ে ‘দু–এক দিনের মধ্যে’ জবাব আসছে

সোমবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকে টিকা নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম
ছবি: পিআইডি

দেশে করোনাভাইরাসের টিকার মজুত ফুরিয়ে আসছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অক্সফোর্ড-আ্যস্ট্রাজেনেকার ৪০ লাখ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র দু-এক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের অনুরোধের আনুষ্ঠানিক জবাব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আজ সোমবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের টিকার অনুরোধের বিষয়টি তাঁদের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, তার উত্তর এক-দুই দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন করা যায় কি না, সে বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করছেন। তবে অবশ্যই এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে এর মধ্যেই ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা আনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল।

চুক্তি অনুযায়ী ৬ মাসে এসব টিকা আসার কথা ছিল। তবে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দুই চালানে ৭০ লাখ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর বাইরে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় গত মার্চে টিকা রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির সরকার। এরপর বাংলাদেশ আর টিকা পাচ্ছে না। এরই মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া অনেকের দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিকল্প উৎস থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়গুলোর অন্যতম ছিল কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা ও টিকার ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য চলতি বছরের আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক তহবিল যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনার ঘোষণা (জেআরপি)।