২য় ডোজের এসএমএস পেলেও ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়ে

চট্টগ্রামের রাউজানে সরবরাহ সংকটে বন্ধ আছে করোনাভাইরাসের টিকার ২য় ডোজের কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কক্ষের ভ্যাকসিন ভায়াল ফুরিয়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে এ সংকট তৈরি হয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন প্রথম ডোজ নেওয়া অনেকে।

করোনার টিকা
ছবি: রয়টার্স

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় গত ১৭ মে থেকে ২য় ডোজ প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। টিকা গ্রহীতাদের কারও কারও ফোনে ২য় ডোজ নেওয়ার এসএমএস আসলেও তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন।

উপজেলায় এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১৯ হাজার ২০৬ জন। তাঁর মধ্যে ২য় ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪ শ ৯০ জন। বাকি ৩ হাজার ৭১৬ জন ২য় ডোজ নিতে পারেননি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন হয়।

উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষক হাসান রেজা ও তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের টিকার ২য় ডোজের তারিখ ছিল গত ১৯ মে। কিন্তু টিকার মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় তাঁরা আর টিকা নিতে পারেননি। হাসান রোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পেশাগত কাজে দেশের বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়। টিকার ২য় ডোজ নিতে গিয়ে বিপদে পড়ে গেলাম। কোনো উপায়ে ২য় ডোজ নিতে পারলে চিন্তা মুক্ত হতাম।’

একাধিকবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে টিকার ২য় ডোজ নিতে না পেরে ফিরে এসেছেন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ বাহা উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘দুই থেকে তিনবার গেলাম বলা হচ্ছে টিকার ভায়াল আসেনি। এখন বিপদে পড়ে আছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর আলম দ্বীন মঙ্গলবার রাতে বলেন, এখন দেশেই করোনার টিকা নেই। সরকার যখন দেবে তখন এখানেও দেওয়া হবে।