বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা ছয় মাস পর কমে অর্ধেক

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে বুস্টার ডোজ নেওয়া ৪৬ জনের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।

ফাইল ছবি

করোনা টিকার কার্যকারিতা ছয় মাস পর কমে আসছে। বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার এক মাস পর শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা যা ছিল, ছয় মাস পর তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। টিকার কার্যকারিতা পুরুষের তুলনায় নারীর সামান্য বেশি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেমাটোলজি বিভাগের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলটন হলে এ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।

গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনের সময় প্রধান গবেষক ও হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দীন শাহ বলেন, একটি গবেষক দল এর আগে করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অ্যান্টিবডির মাত্রা নিয়ে গবেষণা করেছিল।

সর্বশেষ দলটি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়া ৪৬ জনের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে।

ফলাফলে দেখা যায়, বুস্টার ডোজ নেওয়ার এক মাস পর সবার শরীরে গড়ে অ্যান্টিবডির মাত্রা ছিল ২০৮৭৮ এইউ/এমএল। তবে ছয় মাস পর সবার অ্যান্টিবডির গড় মাত্রা ছিল ১০৬৭৫ এইউ/এমএল। অর্থাৎ অ্যান্টিবডির মাত্রা প্রায় অর্ধেক কমে গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ও করোনার টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হননি, তাঁদের তুলনায় বেশি।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ৮৭ শতাংশ পুরুষ ও ১৩ শতাংশ নারী ছিলেন। বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর নারীদের অ্যান্টিবডির মাত্রা পুরুষের চেয়ে বেশি।

সূচনা বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার টিকার চতুর্থ ডোজের অনুমোদন দিলে তাঁরাও দেশে চতুর্থ ডোজের সুপারিশ করবেন।