করোনা রোগী বেড়ে ৬০০ ছুঁই ছুঁই, শনাক্তের হার ৭–এর ওপরে

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৯৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই শনাক্ত হয়েছেন ৫৬১ জন। এ সময় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। আগের দিন ৩০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ হাজার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৩৮। আগের দিন এই হার ছিল ৫ দশমিক ৯৪।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮।
এরপর ক্রমাগত এ হার নিচের দিকে নামতে থাকে। কমতে থাকে শনাক্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে রোগী শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহের বেশি ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগ বাদ দিয়ে সব কটি বিভাগেই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বাদে চট্টগ্রামে ২৫, রাজশাহী ও খুলনা ৩ জন করে, রংপুরে ২ এবং ময়মনসিংহ ও বরিশালে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩২৭ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৮০৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৩১ জনের।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে। করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমেছে। দেশে সংক্রমণ কমে আসায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তুলে নেওয়া হয়েছে করোনাকালীন বিধিনিষেধ। গত ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০-এর নিচেই ছিল।

করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগসহ ছয় দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে করোনাসংক্রান্ত সরকারের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গত মঙ্গলবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি এক সভায় কমিটি এসব পরামর্শ দেয়।

পরামর্শের মধ্যে আরও রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে আবারও উদ্বুদ্ধ করার জন্য সব গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানানো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বর্জন করতে হবে। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানে (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।