করোনার উপসর্গে ২২১২ মৃত্যু: সিজিএস

করোনাভাইরাস
ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক বছর হতে আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। এখনো থামেনি করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু। করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ২ হাজার ২১২ জন মারা গেছেন দেশে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এর আগে ১০ থেকে ২৩ জানুয়ারি সময়ে দুজন মারা যান করোনার উপসর্গে।

সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও)। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) একটি প্রকল্প। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে বিপিও।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে সোমবার নতুন প্রতিবেদন দিয়েছে বিপিও।

গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনার উপসর্গে সর্বোচ্চ ২৫২ জন মারা গেছেন কুমিল্লা জেলায়। এরপর চাঁদপুরে ১৫৭ জন, খুলনায় ১১০ জন, সাতক্ষীরায় ১১০ জন, চট্টগ্রামে ১০৪ জন, ঢাকায় ৯০ জন, বরিশালে ৮৯ জন, রাজশাহীতে ৬৩ জন, বগুড়ায় ৫৯ জন ও পটুয়াখালীতে ৫১ জন মারা গেছে করোনার উপসর্গ নিয়ে। বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৩৪ জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে। ঢাকা বিভাগে ৩৯৪ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২৩ জন, বরিশালে ২৪৪ জন, সিলেটে ১০২ জন, রংপুর ৯৫ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৬১ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত উপসর্গে মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা চার গুণ।

নারী মারা গেছেন ৪৩৭ জন। আর পুরুষ মারা গেছেন ১ হাজার ৭৭৫ জন।

বিপিও বলছে, ৮ মার্চ থেকে করোনার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন দেওয়া শুরু হয়। এতে দেখা যায়, ২২ থেকে ২৮ মার্চের সপ্তাহে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরের সপ্তাহে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ জনে। এরপর এটি বাড়তে থাকে। এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২১ থেকে ২৭ জুন সপ্তাহে। গত কয়েক মাস ধরে দুই সপ্তাহ পর প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সর্বশেষ প্রতিবেদনটি দেওয়া হয়েছে প্রায় তিন সপ্তাহ পর।

করোনার টিকা পরিস্থিতি নিয়ে আরও কিছু তথ্য তুলে ধরেছে বিপিও। তাদের প্রতিবেদন বলছে, ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে ১ দশমিক ২৬ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন। মোট জনসংখ্যার বিপরীতে টিকা গ্রহণ করার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম আর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়।