করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু আগের তুলনায় কমেছে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু আগের দিনের তুলনায় কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা) মারা গেছেন ৩১ জন। আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৯০ জনের। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৭।

নতুন করে ৩১ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৬।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর মধ্যে ১ হাজার ২৯০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এই হার আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৪৫।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৭০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬১৯ জন। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৫।

দেড় মাসের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই দেশে করোনায় মৃত্যু সবচেয়ে কম। এর আগে গত ১১ মে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। তার আগে সবচেয়ে কম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল ২৬ মার্চ, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে মৃত্যুও বাড়ছিল।

করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এরপর একপর্যায়ে সংক্রমণ কমতে থাকে। ধীরে ধীরে দৈনিক মৃত্যুও কমেছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।

এ বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। এরপর বিধি–নিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ঈদ সামনে রেখে শপিং মল ও দোকানে মানুষের ভিড় এবং ঘরমুখো মানুষের ঢল নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।