করোনায় পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে কম মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা) পর্যন্ত আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১ হাজার ৮২২ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এটি সবচেয়ে কম মৃত্যু। এর আগে গত ৩০ মার্চ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

আগের দিন বুধবার দেশে ১ হাজার ৭৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৫০ জনের।

এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৭৯৬ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৬০ জন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৬৯৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২ হাজার ১৬৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১ হাজার ৫৮৫টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮২২ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।

গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারও সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছে। তবে এখন লকডাউন শিথিল হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবার খারাপ আকার ধারণ করতে পারে।