কুমিল্লায় এক দিনে সর্বোচ্চ ৮৫৩ জনের করোনা শনাক্ত

করোনার নমুনা পরীক্ষা।
ফাইল ছবি

কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড। একই সময়ে আরও আটজনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ ২২৭ জন রয়েছেন।

এ ছাড়া বরুড়ায় ৭৫, দাউদকান্দিতে ৫৫, নাঙ্গলকোটে ৫২, চৌদ্দগ্রামে ৪৮, বুড়িচংয়ে ৪৫, ব্রাহ্মণপাড়ায় ২৭, আদর্শ সদরে ২৬, লাকসামে ২৫, লালমাইয়ে ২৪, সদর দক্ষিণে ২১, হোমনায় ১৬, মেঘনায় ১০, তিতাসে ২, দেবীদ্বার ও মুরাদনগরে ৫৬ জন করে এবং চান্দিনা ও মনোহরগঞ্জে ৪৪ জন করে শনাক্ত হয়েছেন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বুড়িচং ও দাউদকান্দিতে দুজন করে এবং দেবীদ্বার, বরুড়া, ব্রাহ্মণপাড়া ও চৌদ্দগ্রামে একজন করে রয়েছেন।

লকডাউন চললেও গ্রামের চায়ের দোকান, টংদোকানসহ প্রায় সবই খোলা। ফলে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে। শহরেও একই অবস্থা। এ অবস্থায় আমরা লকডাউন কতটা মানছি, সেটাই প্রশ্ন!
ইকবাল আনোয়ার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

কুমিল্লা জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৫১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ১৪৪ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় ৬৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে জেলায় গেল ৩ দিনে ২ হাজার ৩৮৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন ৩৩ জন। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এদিন ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগের দিন রোববার শনাক্তের হার ছিল ৪১ দশমিক ২ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১৫ জন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইকবাল আনোয়ার বলেন, ‘লকডাউন চললেও গ্রামের চায়ের দোকান, টংদোকানসহ প্রায় সবই খোলা। ফলে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে। শহরেও একই অবস্থা। এ অবস্থায় আমরা লকডাউন কতটা মানছি, সেটাই প্রশ্ন!’

জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, কুমিল্লায় করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। গত তিন দিনে শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। ৩ দিনে গড়ে ১১ জন মারা গেছেন। গড় শনাক্ত ৭৯৬ জনের বেশি। সংক্রমণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।