ক্যালিফোর্নিয়ায় 'বাড়িতে থাকার' নির্দেশ জারি

করোনাভাইরাস আতঙ্কে প্রায় জনশূন্য নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের সাবওয়ে স্টেশন। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস আতঙ্কে প্রায় জনশূন্য নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের সাবওয়ে স্টেশন। ছবি: রয়টার্স

ভয়াবহ করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় বাসিন্দাদের জন্য ‘স্টে হোম (বাড়িতে থাকার)’ নির্দেশ জারি হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসাম বলেছেন, এই বৈশ্বিক মহামারির সময় বাসিন্দারা শুধু প্রয়োজন হলেই বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন।

এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর একটি আনুমানিক হিসাব তুলে ধরে জানিয়েছিলেন, আগামী দুই মাসে অঙ্গরাজ্যটির চার কোটি বাসিন্দার অর্ধেকেরও বেশি নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংস্পর্শে আসতে পারে।

আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ হাজার ৬৭৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ২০০।

গভর্নর গেভিন নিউসাম বলেছেন, ‘এটা এমন সময় যখন আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের বাস্তবতাকে স্বীকার করতে হবে।’ তাঁর নির্দেশ অনুসারে ক্যালিফোর্নিয়াবাসীরা জরুরি পণ্য বা ওষুধ কিনতে, কুকুরকে হাঁটানো বা ব্যায়াম করার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন। তবে তাঁদের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা সীমিত করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, ওষুধের দোকান, ব্যাংক ও পেট্রল স্টেশন খোলা থাকবে।

গভর্নর জানান, অঙ্গরাজ্যের কোনো কোনো অংশে প্রতি চার দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে দেখা যাচ্ছে। তিনি ফেডারেল সরকারের সহায়তার জন্য গত বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, অঙ্গরাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ ৮ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হতে পারে।

এখন পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৯ জন।

নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের পাশাপাশি ক্যালিফোর্নিয়া বৈশ্বিক এ মহামারির সবচেয়ে বড় আঘাতের শিকার হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুসারে নিউইয়র্কে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৪ জন। মারা গেছে ২৬ জন।

নিউইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও ফেডারেল সরকারের কাছে নিউইয়র্কের জন্য ১৫ হাজার ভেন্টিলেটর, ৩০ লাখ মাস্ক, ৫ কোটি সার্জিক্যাল মাস্ক এবং সাড়ে ৪ কোটি গাউন, গ্লাভস এবং সুরক্ষা পোশাক সহায়তা চেয়েছেন।