টানা তিন দিন ধরে শনাক্ত ৬০০-এর বেশি

ফাইল ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ৬৩৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা তিন দিন শনাক্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়াল। এর আগে জানুয়ারির ১৮ থেকে ২০ তারিখে টানা তিন দিন ৬০০–এর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাঁরা চারজন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। একজনের বয়স ৫০ থেকে ৬০–এর মধ্যে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। গতকাল করোনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আর শনাক্ত রোগী ছিলেন ৬১৯ জন।

এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৪ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮ হাজার ৪৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১ হাজার ১৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৭১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।

দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। তবে ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে।

এখনো সংক্রমণ নিম্নমুখী।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নিজেও টিকা নেন।