টিকা ব্যবহারের উপযোগিতা সনদ দিল ঔষধ অধিদপ্তর

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় প্রস্তুত হয় করোনা প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’
এএফপির প্রতীকী ছবি

টিকা ব্যবহারের উপযোগিতা সনদ দিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর ফলে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে আসা ৫০ লাখ টিকা প্রয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, ভারত থেকে আসা টিকার প্রতিটি লটের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকা দিয়েই বাংলাদেশে শুরু হবে কোভিড-১৯-এর টিকাদান প্রক্রিয়া।

এদিকে বেলা তিনটার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আগামীকালের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের জোর প্রস্তুতি চলছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ আগামীকাল বেলা সাড়ে তিনটায় এই হাসপাতালে করোনার টিকাদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালেও করোনার টিকা দানে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এই পাঁচটি হাসপাতালে (কুর্মিটোলাসহ) সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে।

গতকাল সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভারত থেকে ৫০ লাখ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছায়। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯-এর এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই ভ্যাকসিনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। এর আগে ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে কোভিশিল্ডের ২০ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ।