পরীক্ষামূলক আরও দুটি ফ্লাইট যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ফাইল ছবি

পরীক্ষামূলকভাবে আরও দুটি ফ্লাইট যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এর একটি যাওয়ার কথা আজ দিবাগত রাতে। আরেকটি যাওয়ার কথা আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এ দুটি ফ্লাইটের যাত্রীরা যাবেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার জন্য স্থাপিত বাকি পাঁচ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার পদ্ধতির সম্মতি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মেলেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ ডি এম এফ আর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে (এসওপি) সম্মতি দিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা পদ্ধতি অবশ্য আগে থেকেই এক চিঠিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মতি ছিল।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ–উল আহসান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের এসওপি পাঠানো হয়েছিল। বাকি পাঁচ প্রতিষ্ঠানের এসওপির সম্মতি এখনো আসেনি। এটিও চলে আসবে। তখন নিয়মিত ফ্লাইট শুরু করা যাবে। তিনি বলেন, ডি এম এফ আর মলিকুলার ল্যাবের আগে থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুমোদন ছিল।

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ইকে ৫৮৫ ফ্লাইটে করে ৬৩ জন যাত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবেন। তাঁদের টিকিট নিশ্চিত করা আছে। করোনা পরীক্ষা শেষে নেগেটিভ ফল এলে তাঁরা যেতে পারবেন।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটায় ইকে ৫৮৭ ফ্লাইট আছে। এখন পর্যন্ত ৩৫ জন যাত্রী টিকিট কনফার্ম করেছেন। তবে যাত্রী আরও বাড়বে।

ট্রায়ালের ভিত্তিতে এ ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এটি নিয়মিত ফ্লাইট নয়।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত শনিবার থেকে করোনা পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। দুই দফা আশ্বাসের পর গতকাল রোববার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এ পরীক্ষা শুরুর আশার কথা জানিয়েছিল।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিদেশগামীদের জন্য মঙ্গলবার থেকেও করোনার পরীক্ষা পুরোদমে শুরু হচ্ছে না। বিমানবন্দরে করোনার পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হওয়া বাকি পাঁচ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার পদ্ধতির সম্মতি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ দেয়নি।

এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে করোনার পরীক্ষা করে ৪৬ যাত্রীর করোনা পরীক্ষা করা হয়। যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে পরীক্ষা শেষে তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। আরব আমিরাতে পৌঁছানোর পর তাঁদের প্রত্যেকের আবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানেও নেগেটিভ ফল আসায় তাঁরা আরব আমিরাতে প্রবেশের সুযোগ পান।

গত আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত সে দেশে যেতে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার শর্ত আরোপ করে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দরে এ পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতগামীরা সে দেশে এত দিন যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রবাসী কর্মীদের কারও কারও ভিসার মেয়াদও শেষ হয়েছে।

এদিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে করোনার পরীক্ষা চালু করা গেলেও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন পর্যন্ত পিসিআর যন্ত্র বসার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।