বরিশাল বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭৭৩

মৃত্যুর পর রানু বেগমের মরদেহের পাশে স্বজনদের আহাজারি।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সামনে থেকে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ৫ জন ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগে নতুন করে ৭৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৬৮। আজ বুধবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ভোলায় ২ জন, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠিতে ১ জন করে আছেন। একই সময়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মোট ৮১৪ জনের মৃত্যু হলো। এদিকে এখন পর্যন্ত বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৪৯৯ জন মারা গেছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ হাজার ২২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৭৭৩ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ৩৩৭ জন রয়েছেন।

এ ছাড়া পটুয়াখালীতে ৯৭ জন, ভোলায় ১৮২ জন, পিরোজপুরে ৪৭ জন, বরগুনায় ৬৪ জন, ঝালকাঠিতে ৪৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩৬ হাজার ১৪০। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৯৯৭ জন, পটুয়াখালীতে ৪ হাজার ৮২২ জন, ভোলায় ৪ হাজার ৪১১ জন, পিরোজপুরে ৪ হাজার ৫৬৪ জন, বরগুনায় ৩ হাজার ১৩৬ জন ও ঝালকাঠিতে ৪ হাজার ২২০ জন আছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, বিভাগে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। আগস্টেও তা অব্যাহত আছে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে টিকা নিতে উদ্যোগী হতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে কোনো শয্যা খালি নেই। আজ সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৩৪৯ রোগী ভর্তি আছেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে ঠাঁই নিতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। অধিকাংশ রোগীরই অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। এদিকে এক মাস ধরে ২২টি আইসিইউ শয্যা সব সময়ই রোগীতে পূর্ণ থাকছে। ফলে সংকটাপন্ন অনেক রোগীই আইসিইউ পাচ্ছেন না। এ ছাড়া হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সময়মতো অক্সিজেন না পাওয়ার অভিযোগও করছেন রোগীর স্বজনেরা।