ভারত থেকে আসা টিকা সংরক্ষণ হবে যেভাবে

ওয়াক ইন কুলে টিকা সংরক্ষণ করা হয়।
ছবি: শিশির মোড়ল

ভারত থেকে আসা করোনাভাইরাসের টিকা সংরক্ষণের জন্য তিনটি বিকল্প জায়গা ঠিক করে রেখেছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ কথা জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আগামীকাল বুধবার ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, টিকা রাখার জন্য যে তিন স্থানের কথা সরকার ভাবছে, এর মধ্যে আছে রাজধানীর মহাখালীতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয়, তেজগাঁওয়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির নিজস্ব সংরক্ষণাগার এবং তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ওষুধাগার।

করোনাভাইরাসের টিকা ওয়াক ইন কুলে (ছোট ঘরের মধ্যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ) রাখা হয়। ২৯টি জেলায় ওয়াক ইন কুল আছে। আরও ১৮টি জেলায় টিকা সংরক্ষণের জন্য ওয়াক ইন কুল তৈরি হচ্ছে। আরও বেশি টিকা আসার আগেই এগুলো তৈরি হয়ে যাবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মনে করছে।

জেলা ও উপজেলায় আইএলআর (হিমায়িত বাক্সের মধ্যে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা) আছে।
ছবি: শিশির মোড়ল

এ ছাড়া প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় আইএলআর (হিমায়িত বাক্সের মধ্যে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা) আছে। উপজেলায় আইএলআরে টিকা রাখা হবে। আলাদা হিমায়িত বাক্সে টিকা পরিবহন করা হবে।

ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, কাল ভারত থেকে যে ২০ লাখ টিকা আোর কথা তা ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশের মানুষকে দিচ্ছে। তারা দ্রুততম সময়ে টিকা দেওয়ার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। গত শনিবার থেকে এই টিকা ভারতের মানুষকে দেওয়া শুরু হয়েছে। উপহারের বাইরে সেরামের কাছ থেকে টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মা ও সেরামের মধ্যে চুক্তিও আছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ৫০ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে।

আলাদা হিমায়িত বাক্সে টিকা পরিবহন করা হবে।
ছবি: শিশির মোড়ল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র গতকাল সোমবার জানিয়েছে, অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী শুরুতে আসা টিকা ঢাকা শহরে দিতে চায় সরকার।

মিট দ্য প্রেসে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে তিন শতাধিক টিকাকেন্দ্র হবে। সরকার বিনা মূল্যে টিকা দিচ্ছে, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসা দেবে সরকার। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। গতকাল পর্যন্ত ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩২৯ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৯২২ জনের। করোনায় সংক্রমিত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৩ জন।