যে সিটি এখন ঘুমায়

পোর্ট অথোরিটি বাসস্ট্যান্ড। ছবি: লেখক
পোর্ট অথোরিটি বাসস্ট্যান্ড। ছবি: লেখক

নিউইয়র্ক সিটি নিয়ে শোনা সেই বহুল পরিচিত কথা, ‘দ্য সিটি নেভার স্লিপ’। এই সিটিতে থাকার সুবাদে অনেক আগেই এই কথার সত্যতাও পেয়েছি। এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন, পৃথিবীটা থমকে গেছে করোনাভাইরাসের জন্য। চীন থেকে যাত্রা করে ভাইরাসটা পৌঁছে গেছে সুদূর পশ্চিমেও।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্বের ১৭১ দেশ। মৃত্যু ১৩ হাজারের বেশি। আমেরিকায় মৃত্যুর মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৩ জনে।

রাতের টাইমস স্কয়ার। ছবি: লেখক
রাতের টাইমস স্কয়ার। ছবি: লেখক

সকাল থেকেই শুনছি সিটিতে লোকসমাগম কমে গেছে। তাই ঠিক করলাম রাতের ম্যানহাটনটা এক ফাঁকে দেখে আসব। তিনটা জায়গা ঠিক করলাম দেখার জন্য। পোর্ট অথোরিটি বাসস্ট্যান্ড, টাইমস স্কয়ার এবং ৪২তম স্ট্রিট, ব্রডওয়ে।

পোর্ট অথোরিটি বাসস্ট্যান্ডে শুধু দেখলাম ইয়েলো ক্যাব দাঁড়িয়ে আছে। কোনো লোকজন নেই তেমন। আগে এখানে গাড়ি নিয়ে এলে যে কী ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হতো, তা মনে পড়ে গেল।

কোনো জ্যাম ছাড়াই কয়েক মিনিটে চলে এলাম টাইমস স্কয়ারের কাছে। এখানে এসে পেলাম কিছু মানুষের দেখা। বুঝলাম তারা সবাই আমার মতোই, তারাও এসেছে এই ফাঁকা স্কয়ারটা দেখে নিতে। সবাই ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত।

৪২তম স্ট্রিটে, যেখানে অন্য সময় ব্রডওয়ে শোর জন্য হাঁটাচলা করাই কঠিন। আজ সেখানে শুধু কয়েকজন পুলিশ সদস্য ডিউটি দিচ্ছে। আমি টুপ করে কয়েকটা ছবি তুলে গাড়ি নিয়ে সোজা বাসার পথে।

করোনাভাইরাসের কারণে এখন সব জায়গায় পরিস্থিতি খুব খারাপ। আশা করি, আমরা সবাই এই মহামারি খুব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে পারব। ভয় পাবেন না, এই ভাইরাসে সবাই সুস্থ হয়েও উঠছেন। যাঁরা অন্য কোনো অসুখে ভুগছেন, তাঁরা বেশি সাবধানতা মেনে চলবেন।

ভালো থাকুন।

৪২তম স্ট্রিট, ব্রডওয়ে। ছবি: লেখক
৪২তম স্ট্রিট, ব্রডওয়ে। ছবি: লেখক