রাত ১১টায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল গবেষণার সীমাবদ্ধতা

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, ঢাকা শহরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের করা গবেষণায় নমুনা সংখ্যা কম ছিল। এত কমসংখ্যক নমুনা ঢাকা শহরের প্রতিনিধিত্ব করে না।

গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ কথা বলেন। এর একদিন আগে রাজধানীর একটি হোটেলে করোনা বিষয়ে আইইডিসিআর ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) যৌথ গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলা হয়, ঢাকা শহরে ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আর বস্তির মানুষের মধ্যে এই হার ৭৪ শতাংশ। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা। মীরজা্দী সেব্রিনা আইইডিসিআরের পরিচালক থাকার সময় এই গবেষণার কাজ শুরু হয়েছিল।

করোনা মহামারি নিয়ে এর আগে আর কোনো গবেষণা তথ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেনি আইইডিসিআর। তাই ওই গবেষণা ফলাফল দেশের প্রায় সব গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ ও প্রচার করে। আইইডিসিআরের বিজ্ঞপ্তি থেকে বোঝা যাচ্ছে, ঢাকা শহরের পরিস্থিতি বোঝার জন্য এই গবেষণা যথেষ্ট নয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণাটি ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র তুলে ধরেছে বলে দাবি করা হয়নি। কোনো কোনো গণমাধ্যমে গবেষণাটিতে সমগ্র ঢাকা মহানগরীর চিত্র তুলে ধরেছে বলায় এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দুর্বল হয়েছে পড়েছে ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এত কমসংখ্যক নমুনা ঢাকা শহরের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ঢাকা মহানগরীর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হলে ভবিষ্যতে প্রতিনিধিত্বমূলক সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে আরও বড় পরিসরে গবেষণা করতে হবে।’

রক্তের নমুনার সংখ্যা কত হলে তা ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্ব করবে এমন প্রশ্নের উত্তরে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিনিধিত্বমূলক হওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন হাজার ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা দরকার। পরীক্ষা হয়েছে ৮১৭ জনের।’