৫৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক বছর আজ। গত কিছুদিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। সর্বশেষ ৫৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল আটটা থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত)। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৪৫ জনের। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে একই সময়ে মারা গেছেন আরও ১৪ জন।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৫১ হাজার ১৭৫ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ৮ হাজার ৪৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৪ হাজার ১২০ জন। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি গতকালের চেয়ে বেশি ৮৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের দিন এটি ছিল ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।

দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে তিন সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।