অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪

জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের পৃথক মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. নাজিমউদ্দিন সেগুনবাগিচা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।

২৯ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. আরিফুর রহমান, মো. সেলিম, মো. মমিন এবং ইউপি চেয়ারম্যান মামুন চৌধুরী।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দাতা-গ্রহীতা ও তফসিলভুক্ত সম্পত্তি ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও ৩৫৯৯/তারিখ-২৫-০৫-১৯৯৭ এ সম্পাদিত একটি দলিল নম্বর ব্যবহার করেন। ভুয়া এ দলিলের ভিত্তিতে অপর তিন আসামি গোপাল কুমার দত্ত, প্রভাত কুমার দত্ত এবং রণজিৎ কুমার দত্তকে ভুয়া গ্রহীতা দেখিয়ে নামজারি করান। অথচ দলিলে উল্লিখিত সম্পত্তি হাজি একরামউল্লাহর নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে।

এ ছাড়া এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় নলকূপ স্থাপন না করে ভুয়া ভাউচারে এক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫ নম্বর বাদলা ইউপি চেয়ারম্যান মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ ইটনা থানায় মামলা হয়। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নূর আলম চৌধুরী আজ মামুনকে গ্রেপ্তার করেন।

এদিকে চট্টগ্রামে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়া টেলিফোন বোর্ডের প্রকৌশলীসহ তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর বিচারিক হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরী তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন টিঅ্যান্ডটির বিভাগীয় প্রকৌশলী (ফোন্স) প্রদীপ দাস, প্রধান সহকারী ও হিসাবরক্ষক গিয়াসউদ্দিন এবং টেলিফোন অপারেটর হুমায়ুন কবির। ১৭ আগস্ট বিটিসিএল নন্দনকানন কার্যালয় থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে দুদক।