আবারও শিশু ধর্ষণ, বাদ যায়নি চার বছরের শিশুও

আবারও রাজধানীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই শিশু। গতকাল রোববার রাজধানীর মাণ্ডা ও পুরান ঢাকায় ধর্ষণের শিকার শিশু দুটির মধ্যে একটির বয়স চার বছর। অপরটি ১০ বছরের।
পুরান ঢাকার শিশুটি পড়তে গিয়ে শিক্ষিকার ছেলের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ। শিশু দুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
মান্ডায় চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনা সারা দেশে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। গত সপ্তাহেই পুরান ঢাকায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক এনজিওকর্মী গ্রেপ্তার হন, তার আগে দরজা ভেঙে ঢুকে এক কর্মজীবি তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। গত মাসে দিনাজপুরে ধর্ষণ ও বর্বরতার শিকার হয় পাঁচ বছরের একটি শিশু। শিশুটি এখনো ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন। বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৬৬ জন নারী ও শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৬ জনকে।
গতকাল মুগদা থানাধীন মান্ডায় একটি ভাড়া বাড়িতে প্রতিবেশী কিশোরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় চার বছরের একটি শিশু। শিশুটির বাবা ডেকোরেটরের দোকানের কর্মী। শিশুটির মা জানান, তাঁরা একটি তিনতলা ভবনের দোতলার একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন। সকাল ১০ টা থেকে তিনি মেয়েকে খুঁজছিলেন। ১১টার দিকে মেয়ে তাদের দুই ঘর পরের একটি ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বের হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর বাড়িওয়ালার আত্মীয়। বিষয়টি তাঁরা তাৎক্ষনিকভাবে বাড়িওয়ালাকে জানান। পরে রাত ১০টার দিকে আহত শিশুকন্যাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন বাবা-মা।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারও বয়স কম, সে বিষয়টি খেয়াল রেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে পুরান ঢাকার কসাইটুলির কেপি ঘোষ স্ট্রিটে স্কুলের শিক্ষিকার বাসায় পড়তে গিয়ে তাঁর ছেলের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। রাত ১০ টার দিকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা-মা।
শিশুটির মা বলেন, পুরান ঢাকার একটি স্কুলে পড়ে মেয়েটি। বিকেলে সেই স্কুলের শিক্ষিকা ‘নাহিদা ম্যাডামের’ কাছে ‘প্রাইভেট’ পড়তে যায় সে। প্রতিদিনের মতো গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকেও শিশুটি পড়তে গিয়েছিলো। কিন্তু সেসময় শিক্ষিকা বাসায় ছিলেন না। এ সুযোগে শিক্ষিকার ছেলে নাঈম (১৯) তাঁর শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে অভিভাবকদের জানায়। এরপরে তাঁরা প্রথমে শিক্ষিকার বাসায় ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন শিশুটিকে।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। তিনি এখনো কোনো খবর দেননি।