'ইকবালের স্ত্রী-সন্তানদের গ্রেপ্তারে বাধা নেই'

দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ের সাজা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া রুল খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ রোববার এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ।

পরে দুদকের কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগের আজকের আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে তিন বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ইকবালের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আইনের দৃষ্টিতে এখন পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

আদালতে ইকবালের পরিবারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও কামরুল হক সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

ইকবাল পরিবারকে দুদক সম্পত্তির বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। মামলা করে ২৭ মে।

বিশেষ জজ আদালত মামলার রায় দেন ২০০৮ সালের ১১ মার্চ। রায়ে ইকবালকে অসাধু উপায়ে সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর এবং মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিলের কারণে আরও তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম, দুই ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবালকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

পরে ইকবাল আত্মসমর্পণ করেন, হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। তবে তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আদালতে কখনো আত্মসমর্পণ করেননি। এই চারজন হাইকোর্টে আবেদন করলে তাঁদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। গত ১৮ অক্টোবর ছয় মাসের জন্য তাঁদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর বিরুদ্ধে ১৫ নভেম্বর আবেদন করে দুদক। চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে আজ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

আরও পড়ুন: