ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পুলিশ কারাগারে

চট্টগ্রামে ইয়াবা বড়িসহ ধরা পড়া পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. রেদোয়ানুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় নগরের সিটি কলেজ এলাকা থেকে ইয়াবা বড়িসহ রেদোয়ানুলকে আটক করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তিনি একটি প্রাইভেট কারে চড়ে নিউমার্কেট থেকে সিটি কলেজ এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তাঁরা হলেন জিল্লুর রহমান ও ইমরাতুন নুর। তাঁদের কাছ থেকে ১ হাজার ৭০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মোহাম্মদুল হক
বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মাদক আইনে মামলা করেন। ঘটনার দিন রাতেই নগরের বাকলিয়া থানায় কর্মরত এএসআই রেদোয়ানুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গতকাল বিকেলে থানা থেকে আদালতে নেওয়ার পথে সাংবাদিকেরা ইয়াবার বিষয়ে রেদোয়ানুলের কাছে জানতে চান। কিন্তু কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। এ সময় টুপি ও মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন তিনি। পরে আদালতের বারান্দায়ও সাংবাদিকেরা বিভিন্ন বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন। কিন্তু কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, ১১ নভেম্বর নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকায় ১ হাজার ৭০০ ইয়াবা বড়িসহ একজনকে আটক করেন এএসআই রেদোয়ানুল। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়ে ইয়াবাগুলো তাঁর কাছে রেখে দেন তিনি। গত শনিবার জিল্লুর ও ইমরাতুন নুরকে নিয়ে ইয়াবাগুলো বিক্রি করতে বের হন। বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইয়াবা না দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। এর আগেই ধরা পড়ে যান তাঁরা।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াবাসহ আটকের পরপরই রেদোয়ানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলারও প্রস্তুতি চলছে। ইয়াবাগুলো তিনি কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন এবং গ্রেপ্তার অন্য দুজনের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, সবকিছু তদন্তে বেরিয়ে আসবে।