মহামারিতে ৬ অপরাধ বেড়েছে

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর আট মাসে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ত্রাস সৃষ্টি, সম্পত্তি দখল, গবাদিপশু চুরিসহ ছয় ধরনের অপরাধ বেশি বেড়েছে।

গত বছরের মার্চ থেকে অক্টোবরের অপরাধসংক্রান্ত পরিসংখ্যানের সঙ্গে চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের থানাগুলোয় দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে তৈরি এ পরিসংখ্যান পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের ৮ মার্চ থেকে দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, বৈশ্বিক এই মহামারিতে নির্দিষ্ট কিছু অপরাধ বাড়তে পারে, সেটা কিছুটা অনুমিত ছিল। সেদিকে নজর রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে। তবে নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি এবং বিকৃত যৌনাচারের ঘটনা পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাবিয়ে তুলেছে।

তবে পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ সময় ধর্ষণ ছাড়া অন্যান্য নারী নির্যাতনের মামলা কমেছে। খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ত্রাস সৃষ্টি, সম্পত্তি দখল ও চুরি ছাড়া অন্য অপরাধও কম হয়েছে। গত বছর মার্চ–অক্টোবরে সব ধরনের অপরাধে দেশে মোট মামলা হয় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩২টি, চলতি বছর একই সময়ে মোট মামলা হয় ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০৪টি।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, করোনাকালে প্রান্তিক পেশাজীবীসহ অনেক মানুষের স্বাভাবিক আয়ের পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের চলাফেরাও সীমিত। তাই অর্থ সম্পত্তি ও মানুষের শারীরিক উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধের পরিসংখ্যানে পরিবর্তন এসেছে। তবে সার্বিক অপরাধের সংখ্যা কমেছে।

গত বছর আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের সংখ্যা ছিল ৩২০, চলতি বছরে এই অপরাধ দাঁড়িয়েছে ৫৯৮টিতে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চাঁদা দাবি বা আদায়ের চেষ্টা, ছিনতাই ও ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টায় করা অপরাধের সংখ্যা।

পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের মার্চ থেকে অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের সংখ্যা বেশি। পুলিশের খাতায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ বলতে বোঝানো হয়, চাঁদা দাবি, মালামাল দাবি বা আদায় করা বা আদায়ের চেষ্টা করা, যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা বা গতিপথ পরিবর্তন করা, যানবাহনের ক্ষতি সাধন করা, সম্পত্তি বিনষ্ট বা ভাঙচুর করা, ছিনতাই বা জোর করে কেড়ে নেওয়া, ত্রাস সৃষ্টি করা, দরপত্রে বাধা দেওয়া ও দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করা ইত্যাদি।

গত বছর আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের সংখ্যা ছিল ৩২০, চলতি বছরে এই অপরাধ দাঁড়িয়েছে ৫৯৮টিতে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চাঁদা দাবি বা আদায়ের চেষ্টা, ছিনতাই ও ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টায় করা অপরাধের সংখ্যা।

ছিনতাই
প্রতীকী ছবি

২০১৯ সালে চাঁদা বা মালামাল দাবি বা আদায়ের চেষ্টায় মামলা হয়েছিল ৬৭টি, চলতি বছর একই সময়ে মামলা হয়েছে ১০৩টি। চাঁদা দাবি আদায় বা আদায় চেষ্টায় সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ঢাকা অঞ্চলে (রেঞ্জে)। এর সংখ্যা ২৩। এরপরই রাজশাহী অঞ্চলের অবস্থান। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় এ সময়ে চাঁদা দাবির মামলা হয়েছে ১২টি।

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ–ডিবির উপকমিশনার (গুলশান বিভাগ) মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, করোনায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও প্রতারণার ঘটনা বেড়েছে, খুব বেশি না হলেও। উদাহরণ হিসেবে তিনি কর্মহীন ফল ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদের (২৭) কথা বলছিলেন। আপেল বাড্ডায় জামাকাপড় ও মৌসুমি ফল বিক্রি করতেন। করোনার প্রাদুর্ভাবের পর ব্যবসা গুটিয়ে নেন। পরে কিছু বন্ধু মিলে প্রতারণা শুরু করেন। তাঁরা স্ত্রীদের দিয়ে অপরিচিত লোকজনের ফাঁদে ফেলে আটক, নির্যাতন ও অর্থ আদায় করতেন। সাঈদ নাগর নামের এক ব্যক্তি তাঁদের ফাঁদে পড়ে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে হত্যা করেন। গত ১২ জুলাই আপেল ও তাঁর স্ত্রী গ্রেপ্তার হন।

করোনার কারণে বহু মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এলাকায় ফিরেছেন। বেশির ভাগ মারামারির ঘটনা ঘটেছে আত্মীয়র সঙ্গে জায়গাজমির ভাগ-বণ্টন ও ব্যবহার নিয়ে।
এ কে এম এহসানউল্লাহ, বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক

চলতি বছরের জুনে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় কয়েকজন সিএনজিচালক একজন ঝুট ব্যবসায়ীকে খুন করেন। লকডাউনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের আয় কমে গিয়েছিল। ঝুট ব্যবসায়ীও গার্মেন্টসের কাপড়চোপড় পাচ্ছিলেন না। ওই ঝুট ব্যবসায়ী শুরু করেছিলেন চা–পাতা, আদা ও মধুর ব্যবসা। আর কয়েকজন সিএনজিচালক গড়ে তুলেছিলেন ছিনতাইকারী চক্র। গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে চক্রটি ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করে টাকা ও মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এ সময় ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত ও আরমানের পরিচয় দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি করার ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রূপালী ব্যাংক তাদের শাখা ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে বেসরকারি খাতের ছোট, মাঝারি ও বড় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কাজ হারানো এসব মানুষ সংসার চালানোর জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। প্রতারণার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে যাঁরা এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত, চাঁদা দাবি করা হয়েছে তাঁদের থেকেও। তাঁদের কেউ কেউ ভয় পেয়ে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে এসএমই ফাউন্ডেশন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতারকদের কাছ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানায়।

করোনা শুরুর পর আট মাসে দেশে ছিনতাইয়ের মামলা হয় ৩৫৬টি। গত বছর একই সময়ে এ ধরনের ঘটনা ছিল ১৯৩টি। পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি ছিনতাই হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়। চলতি বছরের আট মাসে চট্টগ্রাম নগরীতে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ৬২টি। ডিএমপি তালিকায় দ্বিতীয়। এখানে ছিনতাইয়ের মামলা হয় ৫১টি। একই সময়ে মহানগরের বাইরে চট্টগ্রাম রেঞ্জ বা অঞ্চলের জেলাগুলোয় ছিনতাইয়ের মামলা হয় ৫১টি, ঢাকা রেঞ্জে ৩৫টি, সিলেট মহানগর এলাকায় ২৯টি ও ময়মনসিংহ রেঞ্জে ২৫টি মামলা হয়।

করোনা শুরুর পর আট মাসে দেশে ছিনতাইয়ের মামলা হয় ৩৫৬টি। গত বছর একই সময়ে এ ধরনের ঘটনা ছিল ১৯৩টি। পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি ছিনতাই হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়।

অবশ্য ছিনতাইয়ের সব ঘটনায় মানুষ মামলা করতে যায় না। তাই ধারণা করা হয়, প্রকৃত ছিনতাইয়ের ঘটনা মামলার সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়।

ত্রাস সৃষ্টির মতো অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি বরিশাল অঞ্চলের ছয়টি জেলা বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও ভোলায়। ত্রাস সৃষ্টি বলতে বোঝানো হয় বাড়িঘর, দোকানপাট, হাটবাজার, রাস্তাঘাট, যানবাহন বা প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিত বা আকস্মিকভাবে একক বা দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া, দাপট দেখিয়ে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করা, বিশৃঙ্খলা বা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্ট করা।

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি বা লকডাউন ছিল। এ সময়ের মধ্যে ২০ এপ্রিল পটুয়াখালীর গলাচিপায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আট পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নিলে তাঁদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা হয় এবং তাঁদের ইউপি কার্যালয়ে আটকে রেখে বাইরে পাহারা বসায় হামলাকারীরা। অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরাও হামলার শিকার হন। জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গলাচিপা সার্কেল) মো. ফারুক হোসেনের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানায়, পাওনা টাকা উদ্ধারে ৭–৮ যুবক তালতলীর মোল্লা জাহিদকে অপহরণ করতে গিয়েছিল। দুই পক্ষের লোকজন জটলা পাকালে পুলিশ তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানায়। এরপরই পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা হয়।

করোনাকালে প্রান্তিক পেশাজীবীসহ অনেক মানুষের স্বাভাবিক আয়ের পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের চলাফেরাও সীমিত। তাই অর্থ সম্পত্তি ও মানুষের শারীরিক উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধের পরিসংখ্যানে পরিবর্তন এসেছে। তবে সার্বিক অপরাধের সংখ্যা কমেছে।
মো. সোহেল রানা, সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া), পুলিশ সদর দপ্তর

এর বাইরেও প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, গত জুনে বরগুনায় হামলার ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪, পিরোজপুরের সংঘর্ষে আহত ৩৬, ঘরে আগুন, বরগুনায় জমি নিয়ে বিরোধের সংঘর্ষে আহত ২৫, ভোলায় চায়ের আড্ডায় হামলা, ১২ জন আহত এবং অক্টোবরে পিরোজপুরে ছাত্র–যুবলীগের সংঘর্ষে ২১ নেতা–কর্মী আহত হন।

বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক এ কে এম এহসানউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, করোনার কারণে বহু মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এলাকায় ফিরেছেন। বেশির ভাগ মারামারির ঘটনা ঘটেছে আত্মীয়র সঙ্গে জায়গাজমির ভাগ-বণ্টন ও ব্যবহার নিয়ে। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে অপরাধ বাড়েনি। বিশেষ ধরনের অপরাধ বেড়েছে, যার আশঙ্কা শুরু থেকেই ছিল।

করোনাকালে গবাদিপশু চুরির ঘটনাও বেড়েছে। গত বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় গবাদিপশু চুরির মামলা হয়েছিল ৬০৮টি, চলতি বছর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮১৪টি। চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১৫৫টি, রংপুর রেঞ্জে ১২৯টি ও খুলনা রেঞ্জে ১২৪টি মামলা হয়।

ঐতিহাসিকভাবে মহামারি, দুর্ভিক্ষ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো পরিস্থিতিতে অপরাধের চিত্র বদলায়। বিশেষত, যাঁরা অর্থনৈতিক ঝুঁকি ও মানসিক অশান্তিতে আছেন, তাঁদের একটি অংশ অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।
খন্দকার ফারজানা রহমান, চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগ

চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের মামলা হয় সাড়ে চার হাজার। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৩৩১। করোনাকালে ডিএমপির বাইরে ঢাকা রেঞ্জের ১৭ জেলায় ৭৪৪টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আর ডিএমপি এলাকায় হয় ৩৭২টি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমানের মতে, যৌন সহিংসতা, ধর্ষণ ও বিকৃত যৌনাচারে জড়িয়ে পড়ার একটা অন্যতম কারণ পর্নোগ্রাফি। অন্যান্য অপরাধ বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঐতিহাসিকভাবে মহামারি, দুর্ভিক্ষ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো পরিস্থিতিতে অপরাধের চিত্র বদলায়। বিশেষত, যাঁরা অর্থনৈতিক ঝুঁকি ও মানসিক অশান্তিতে আছেন, তাঁদের একটি অংশ অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। একটি অংশ অপরাধের শিকার হন। অপরাধে জড়িয়ে পড়েন প্রধানত অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক অবস্থায় থাকা মানুষ।