কেন্দ্রীয় নেতার সামনে ছাত্রলীগের হাতাহাতি

সুনামগঞ্জ-২ আসনের (দিরাই-শাল্লা) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পথসভায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সামনেই সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিরাই পৌর শহরের সেন মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে দিরাই শহরের সেন মার্কেটের সামনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তার সমর্থনে পথসভার আয়োজন করা হয়। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাংসদ মহিবুর রহমান ও মোয়াজ্জেম হোসেন, জয়া সেনগুপ্তা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ুব বখত জগলুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বেলা দুইটার দিকে জয়া সেনগুপ্তা বক্তব্য দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতার কাছাকাছি থাকা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে ধাক্কাধাক্কি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। এ ঘটনায় সেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ১১ মার্চ কেন্দ্র থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বী ও সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, কয়েকজন কর্মীর মধ্যে সামান্য কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তেমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি।
তবে বক্তব্য দেওয়ার সময় জাকির হোসাইন বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। যারা জয়া সেনগুপ্তার বক্তব্যের সময় বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা জয়া সেনগুপ্তাকে নৌকা দিয়ে এখানে পাঠিয়েছেন। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকাকে জয়ী করতে কাজ করতে হবে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা। তাঁর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন সায়েদ আলী মাহবুব হোসেন। ৩০ মার্চ নির্বাচন হবে।